সুদীপ্ত আচার্য, কলকাতা : শিক্ষাক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের (Privatisation of Education) চেষ্টার অভিযোগে অবস্থান বিক্ষোভ ও মিছিল করলেন বাম (Left) ছাত্র-যুবরা হাজরা মোড়ে এসএফআইয়ের (SFI) বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। প্রথমে দক্ষিণ কলকাতার (South Kolkata) গোলপার্ক (Golpark) থেকে হাজরা (Hazra) পর্যন্ত মিছিল করেন এসএফআই সমর্থকরা। তারপর অবস্থান বিক্ষোভ দেখান। যদিও শিক্ষাকে বেসরকারিকরণ করা হবে না, বলেই সাফ জানিয়ে দিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, কারা কেন বিক্ষোভ দেখাচ্ছে, তারাই বলতে পারবে। আমাদের দফতরে এরকম কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
গত বেশ কয়েকদিন ধরে রাজ্যজুড়ে শোরগোল চলছে একটি বিক্ষপ্তি ঘিরে। ভাইরাল হওয়া একটি বিজ্ঞপ্তির খসড়া (Viral Notification Draft) নিয়ে দেখা দিয়েছে বিতর্ক। রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে বিরোধীদের অভিযোগ, সরকারি স্কুলগুলিকে (Government School) বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। যদিও স্কুল শিক্ষা দফতর (Education Ministry) সূত্রের দাবি, যে বিজ্ঞপ্তির কথা বলা হচ্ছে, সেটি ভুয়ো। প্রসঙ্গত, ভাইরাল হওয়া খসড়ার সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।
ভাইরাল হওয়া খসড়ায় উল্লেখ, রাজ্য সরকারের অধীনস্থ স্কুল শিক্ষা দফতর Public private partnership বা PPP মডেলের মাধ্যমে স্কুলগুলিকে পরিচালনা করা এবং সরকারের অব্যবহৃত পরিকাঠামোকে কাজে লাগাতে ইচ্ছুক। বিতর্কিত খসড়ায় উল্লেখ, PPP মডেলে স্কুল গড়তে, বেসরকারি অংশীদারিত্বের আবেদনের জন্য রিকোয়েস্ট ফর প্রোপোজাল বা RFP জারি করবে রাজ্য সরকার।সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ‘বিড’ বা নিলামে অংশ নেবে বেসরকারি সংস্থা।
এই সব বিষয়গুলিকে সামনে রেখেই সরব বিরোধীরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেছেন, প্রথমে পরিকল্পিতভাবে পাড়ায় শিক্ষালয় এনে শিক্ষা-কে ডিগ্রেডেশন করে দেওয়া, তারপর ধীরে ধীরে বেসরকারি হাতে তুলে দেওয়া, এটাই পরিকল্পনা, বেসরকারি সংস্থা ঠিক করবে কী হবে না হবে, প্রচুর টাকা তুলবে, আন্দোলনই একমাত্র পথ।
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ, গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি প্যানেলগুলো বাতিল হচ্ছে হাইকোর্টে, চরম নৈরাজ্য, মুখ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে লুঠ চলছে শিক্ষা ক্ষেত্রে। তবে ভাইরাল এই খসড়া প্রসঙ্গে স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রের দাবি, খসড়াটি ভুয়ো। এরকম কোনও সিদ্ধান্ত এখনও রাজ্য সরকার নেয়নি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেছেন, এটা সারা পৃথিবীতে হচ্ছে, ভারতে হচ্ছে, রাজ্যেও হতে পারে, রেল যদি পিপিপি হতে পারে, তাহলে বাস্তবসম্মত আপত্তি কোথায়? কোনও সরকারের অনেক কিছু করা সম্ভব, কিন্তু সব কিছু করা সম্ভব নয়, এটা সস্তা রাজনীতি হচ্ছে।
Education Loan Information:
Calculate Education Loan EMI