কলকাতা: ভরদুপুরে চলল গুলি। পার্কসার্কাসে গুলিতে মৃত্যু। রাস্তায় পড়ে দেহ। পাশে বন্দুক। নিহত পুলিশকর্মীর পাশে পড়ে রাইফেল। একটু দূরেই পড়ে এক মহিলার দেহ। বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের গার্ড হিসেবে কর্মরত ওই পুলিশকর্মী। শুক্রবার দুপুরে এমনই ভয়ানক ছবি খাস কলকাতার বুকে। 


কী জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা:
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, সেখানে থেকে বেরিয়ে এসে এলোপাথাড়ি গুলি (Firing) চালাতে শুরু করেন ওই পুলিশকর্মী (Police)। সঙ্গে সঙ্গে পালাতে শুরু করেন বাসিন্দারা। সেই সময় ওই রাস্তা দিয়ে আসছিলেন এক মহিলা। গুলি লাগে তাঁর।  প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই মহিলার সঙ্গে আরও কেউ একজন ছিলেন। তাঁর গুলি লেগেছে বলে দাবি স্থানীয়দের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এলোপাথাড়ি গুলি করার পর ওই মহিলার গায়ে গুলি লাগে। তারপরেই ওই পুলিশকর্মী নিজেকে গুলি করেন বলে দাবি স্থানীয়দের। আট-দশ রাউন্ড গুলি চলেছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। এমন ঘটনার কথা শুনেই এলাকায় আসছেন পুলিশকর্মীরা। ঘটনা ঘটনার মিনিট কুড়ির মধ্যেই ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছয় পুলিশকর্মীরা। মৃতদেহ উদ্ধার করার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এলাকায় এসে পৌঁছেছেন লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা। ঘটনাস্থল থেকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আগ্নেয়াস্ত্রটি।

গাড়িতেও গুলি:
স্থানীয়দের দাবি, এলোপাথাড়ি গুলি চালানোয় কাছেই একটি গাড়িতে গুলি লেগেছে। পাশেই একটি গ্যারেজে লাগে গুলি। তখনই একটি বাইকে মহিলার গায়ে গুলি লাগে, সঙ্গে থাকা বাইক চালকের গায়েও গুলি লেগেছে বলে দাবি স্থানীয়দের।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনে (High Commision of Bangladesh) কর্মরত ওই নিরাপত্তারক্ষীর নতুন কাজে যোগ দিয়েছিলেন। এমন ঘটনায় প্রবল আতঙ্কে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ভিড় থাকলে আরও প্রাণহানি হতে পারত এলাকায়।  আচমকা এই ঘটনা ঘটনায় প্রবল উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়ার পরেই প্রবল আতঙ্ক রয়েছে এলাকায়। চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে বাকরুদ্ধ স্থানীয়রা। গোটা এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।  

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর টাকায় ফোন, চতুর্থ হয়ে ধন্যবাদ জানালেন অর্পিতা