হিন্দোল দে, আবির দত্ত ও অরিত্রিক ভট্টাচার্য, কলকাতা: চিকিত্‍সায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগে SSKM হাসপাতালে ধুন্ধুমার (SSKM Hospital)। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ৪ জন চিকিত্‍সককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ মৃতের আত্মীয়দের বিরুদ্ধে। ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। এই ঘটনায় পাঁচ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। 


ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালে


ফের চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর অভিযোগ উঠল সরকারি হাসপাতালে। তা থেকে বাধল ধুন্ধুমার। SSKM-এর চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ মৃতের পরিজনদের বিরুদ্ধে। যাঁর মৃত্যুতে কেন্দ্র করে এই গন্ডগোল, ২৭ বছরের সেই মহম্মদ আরমান গত মঙ্গলবার, মোটরবাইক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তিনি ভর্তি ছিলেন SSKM-এর ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। 


রবিবার রাত ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ মহম্মদ আরমানের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে।  তার পর রাতেই হাসপাতাল চত্বরে রোগীর আত্মীয়রা জড়ো হতে শুরু করেন। তাঁদের অভিযোগ, শুক্রবার অস্ত্রোপচারের কথা থাকলেও তা করা হয়নি। তার উপর নথিতে মৃত্যুর সময় রাতের বদলে দিন লেখা ছিল বলে অভিযোগ। 


আরও পড়ুন: South 24 Parganas:আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী প্রৌঢ়া, বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম ছেলে


মৃতের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, নথিতে রাত সওয়া ১১টার বদলে সকাল সওয়া ১১টা লেখা হয় হাসপাতালে তরফে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সোমবার ভোরে আচমকাই রোগীর আত্মীয়রা চড়াও হন ট্রমা কেয়ার সেন্টারে। অভিযোগ, শুধু চিকিত্‍সদের মারধরই নয়, ভাঙচুর করা হয় হাসপাতালের ভিতরেও।


হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, চেয়ার টেবিলের পাশাপাশি, ভাঙা হয় এক্স রে মেশিনের ভিউয়ার।  ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। পরে তিনি বলেন, "যা হয়েছে খারাপ হয়েছে। দু'জন জুনিয়র ডাক্তার ছিলেন। তবে সিনিয়র ডাক্তার থাকা দরকার। ডাক্তারদের জন্য সরি বলেছি।  পুলিশকে বলেছি, স্থায়ী ক্যাম্প থাকা দরকার।"


SSKM-এর চিকিৎসকদের মারধরের অভিযোগ


এতে যদিও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বক্তব্য, "অনেক দিন আগেই উচ্ছন্নে গিয়েছে SSKM।" চিকিত্‍সকদের মারধর ও হাসপাতালে ভাঙচুরের অভিযোগে মৃতের ৫ জন আত্মীয়কে গ্রেফতার করেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ। তাঁদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে।