ঝিলম করঞ্জাই: কলকাতা: চিকিৎসা ক্ষেত্রে দেশের মধ্যে নজির তৈরি হল। নতুন নজির গড়ল কলকাতার SSKM হাসপাতাল। সূত্রের খবর, রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় ৬০০-রও বেশি গলব্লাডার মাইক্রোসার্জারি বাকি ছিল। রোগীদের সুরাহা করতে তাই ম্যারাথন অস্ত্রোপচারের উদ্য়োগ নিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আর তাতেই দিনে ১৮৫টি সফল অস্ত্রোপচার করেছে SSKM হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ। (Kolkata SSKM Hospital)
মাত্র পাঁচ দিনে ১৮৫টি সফল অস্ত্রোপচার করে নজির গড়ল SSKM হাসপাতাল। রাজ্যের অন্যতম বড় সরকারি হাসপাতাল SSKM-এ প্রতিদিনই হাজার হাজার রোগী চিকিৎসা করাতে আসেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেরই অস্ত্রোপচার করার প্রয়োজন হয়। কিন্তু রোগীর সংখ্যা এতটাই বেশি যে অস্ত্রোপচারের ডেট পেতে বহু সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। (SSKM Record Surgeries)
হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৬০০-রও বেশি গলব্লাডারের মাইক্রোসার্জারি বাকি ছিল। রোগীদের সুরাহা করতে তাই ম্যারাথন অস্ত্রোপচারের উদ্য়োগ নেয় SSKM হাসপাতালের সার্জারি বিভাগ। লক্ষ্য ছিল ২০০টি অস্ত্রোপচার শেষ করার। এর মধ্যে পাঁচ দিনে ১৮৫টি সফল অস্ত্রোপচার করেছেন SSKM-এর সার্জারি বিভাগের ১৫ জন চিকিৎসক।
কার্যত অসাধ্য সাধন করে দেখালেন SSKM-এর সার্জারি বিভাগের চিকিৎসকেরা। যে রোগীদের অস্ত্রোপচার করা হয়েছে, তাঁদের কারও বয়স ১৪ বছর, কারও আবার ৮২। এর মধ্যে সকলেলই সফল অস্ত্রোপচার হয়েছে। জানা গিয়েছে, ছুটি বাতিল করে কাজ করে গিয়েছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
এই নজির সৃষ্টি নিয়ে SSKM হাসপাতালেস সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক দীপ্তেন্দ্র সরকার বলেন, "এটা ডাক্তারদের কুম্ভ। অর্থাৎ মানুষের উপরকার করতে পারার জন্য এত চিকিৎসক একসঙ্গে এবং কর্তৃপক্ষ যেভাবে সহযোগিতা করেছেন, না হলে তো এটা সম্ভব নয়! এটা একটা ভিশনারি স্টেপ। আমি নিশ্চিত, এটা পশ্চিমবঙ্গে প্রথম নয়, এটা সূচনা মাত্র। আমরা এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের উপকার করার যে চেষ্টা করেছি, আশা করি উপকৃত হবেন তাঁরা।"
সার্জারি বিভাগের প্রধান অভিমন্যু বসু বলেন, "অন্য অপারেশনকে যত গুরুত্ব দিতে হয়, বিনাইন কেসগুলো ততটা গুরুত্ব পায় না। কারণ দেরি হলে বিপদ নেই তেমন। কিন্তু একটা জায়গায় যদি এত বেশি রোগী চলে আসেন, তাঁরা কতদিন অপেক্ষা করবেন! তাই এই উদ্যোগ গৃহীত হয়। পুরোটা সম্পূর্ণ করতে পারিনি। এখনও অনেক জমে আছে। তবে অনেকটা কাজ হয়ে গেল।" সূত্রের খবর, এত কম সময়ে এতগুলো অস্ত্রোপচারের নথিপত্র রিসার্চ পেপার হিসাবে প্রকাশ করার কথা ভাবছেন SSKM কর্তৃপক্ষ।