ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: ইতিহাস নতুন করে লেখা উচিত। শনিবার এই বিষয়ের উপর বিতর্কসভার আয়োজন করেছিল সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ অ্যালুমনি অ্যাসোসিয়েশন। বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন একঝাঁক বিদ্বজন। মণিশঙ্কর আইয়ার, জহর সরকার, মনীশ তিওয়ারি-সহ অনেকে। সঞ্চালনা করেছেন চিকিৎসক কুণাল সরকার। বিতর্কসভার সূচনা করেন সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের প্রিন্সিপাল ফাদার ডমিনিক সাভিও। বিতর্কসভায়, এই বিষয়ের উপরেই উঠে এসেছে পক্ষে-বিপক্ষের একাধিক মতামত। ক্যালকাটা ডিবেটিং সার্কেলের সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল, আঠাশতম ফাদার জরিস মেমোরিয়াল, নিহিল আলট্রা ট্রফি ন্যাশনাল ডিবেটের। সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন চিকিৎসক কুণাল সরকার। ভারতের ইতিহাসকে নতুন করে লেখা উচিত কি না, তার পক্ষে-বিপক্ষে বক্তব্য রাখেন ৮ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি। 


জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন ললিতা কুমারমঙ্গলম বলেন, 'ইতিহাসে নারীদের সেভাবে গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। তাদের লুজার হিসেবে দেখানো হয়েছে। সীতা মোটেই লুজার ছিলেন না।' কংগ্রেসের সাংসদ ও জাতীয় মুখপাত্র মনীশ তিওয়ারি বলেন, 'ইতিহাস নতুন করে লিখলেও ঘটনাগুলি তো পাল্টাবে না। মারাঠায় একজন মুসলিম সেনাপতি ছিলেন। আকবরের হিন্দু সেনাপতি ছিলেন।' আলোচনার মধ্যে উঠে এসেছে বর্তমান ঘটনার প্রসঙ্গও। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার বলেন, 'আজকের দেশের শাসকদল কথায় কথায় মহাত্মা গাঁধী, জওহরলাল নেহরুর সমালোচনা করেন। নেতাজির আজাদ হিন্দ ফৌজের দুই বাহিনীর নাম ছিল তাঁদের নামে।'
প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং ইতিহাসবিদ সঞ্জীব সান্যাল বলেন, 'আমরা ছোটবেলায় যা ইতিহাস শিখেছে, তাতে অনেক কিছু আড়াল করা হয়েছে। রাজা পৃথুর নাম শুনেছেন? যিনি অসমে বিভিন্ন সুলতানদের হারিয়েছিলেন।' ইতিহাসকে নতুন করে লেখা দরকার বলে মনে করছেন JNU-র অধ্যাপক আনন্দ রঙ্গনাথন। তিনি বলেন, 'নেহরুকে স্বাধীনতার সমর্থক বলে জানা ছিল, কিন্তু তিনি অনেককিছু ব্যান করেছিলেন।' তবে এর সঙ্গে সহমত হননি তৃণমূল সাংসদ ও প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার। তাঁর বক্তৃতায় উঠে এসেছে বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা। 


আরও পড়ুন: 'নোংরা রাজনীতিকে করতে সাফ, বাংলায় এবার আসছে আপ' পোস্টার পড়ল বারাসাতে