ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: বকেয়া DA নিয়ে আন্দোলন চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই(DA Protest)। এ বার তা নিয়ে রাজ্য সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন আন্দোলনকারী। মাস বা সপ্তাহের নিরিখে নয়, রাজ্যের সরকারি কর্মীরা জানিয়েছেন, বুধবারের মধ্যে সরকার পদক্ষেপ না করলে, কর্মবিরতির পথে হাঁটবেন তাঁরা। অংশ নেবেন না পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজেও (Panchayat Elections 2023)। এর পাশাপাশি, আগামী ১২ জুলাই কমিটির ডাকে শুক্রবার বিধানসভা অভিযানকে সমর্থন জানিয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ।


বুধবারের মধ্যে সরকার পদক্ষেপ না করলে কর্মবিরতি


অন্য দিকে, বকেয়া DA-র দাবিতে শহিদ মিনারে ২০ দিনে পড়ল রাজ্য সরকারি কর্মীদের ধর্না-অবস্থান। গত শুক্রবার থেকে অনশন শুরু করেন চার আন্দোলনকারী। এঁদের মধ্যে দু'জন অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে যোগ দেন অন্য এক জম। এই মুহূর্তে তিন জন অনশন করছেন। এবিপি আনন্দের মুখোমুখি হয়ে তাঁরা বলেন, "আমরা প্রথমে পেনডাউন করেছিলাম একদিনের। প্রতীকী অনশন করেছিলাম। তার পর শুরু হয়েছে লাগাতার।"


আরও পড়ুন: Youtuber Dies: শারীরিক প্রতিবন্ধকতা বাধা হয়নি সাফল্যের পথে, দুর্ঘটনা প্রাণ কাড়ল বাংলার জনপ্রিয় ইউটিউবারের


আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, "সরকারকে দু'দিন আল্টিমেটাম দিয়েছি, যাতে আমাদের দাবি মিটিয়ে দেওয়া হয়। এখনও হুঁশ না ফিরলে আগামী দিনে লাগাতার পেনডাউন, অবরোধে যাব। দেখিয়ে দেব, পশ্চিমবঙ্গের কর্মচারীরা কী পারেন! কারণ এই কর্মীদের বলে বলীয়ান হয়ে আপনার 'এগিয়ে বাংলা'। আগামী দিনে কর্মচারীর লাগাতার আন্দোলন করব। এই বাংলাকে অচল করে রাখবে। তার সম্পূর্ণ দায় রাজ্য সরকারের। সাধারণ মানুষ যদি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হন, তার দায় রাজ্য সরকারের, কর্মচারীদের নয়।" 


আন্দোলনকারীদের দাবি, তাঁরা সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ভাবার সময় দিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত কিছু করে ওঠেনি। আজ শেষ সময় দেওয়া হয়েছে। আজ পর্যন্ত রয়েছে আল্টিমেটাম। আজকের মধ্যে যদি কোনও বার্তা না আসে, তাঁরা রাতে বসে সিদ্ধান্ত নেবেন। আগামী দিনে লাগাতার কর্মবিরতিতে যাবেন রাজ্যের সরকারী কর্মীরা।


ডিএ এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ


ডিএ এবং স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। সেই আবহেই এ দিন সরকারকে সময়সীমা বেঁধে দিলেন সরকারি কর্মচারীরা। এ নিয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "পঞ্চায়েত নির্বাচন কেন, রাজ্য সরকার কোনও কিছুই করতে পারে না সরকারি কর্মীদের ছাড়া। তাঁরাই রাজ্য সরকারের হাত-পা। তাঁদের অধিকার হরণ করে কী করে চলতে পারে রাজ্য সরকার!"