ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, কলকাতা: গার্ডেনরিচের বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়ল নির্মীয়মান আবাসন। ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাশাপাশি দু'টি আবাসন। একটি অপরটির উপর হেলে পড়েছে। উদ্বিগ্ন আবাসনের বাসিন্দারা (Garden Reach Building)। একটি আবাসনের হেলে পড়া অংশের দেওয়ালে ফাটল দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ আইনি ভাবে তৈরি হয়েছে বাড়ি দু'টি। চারতলা বাড়ির জন্য অনুমতি থাকলেও তৈরি হয়েছে পাঁচতলা বাড়ি। প্রশাসনের নজর ফাঁকি দিয়ে বাড়িগুলি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পুরসভা (KMC) একটি বাড়ি ভাঙার কাজও শুরু করে দিয়েছে (Kolkata News)।


গারেডেনরিচে শুরু হয়েছে বেআইনি ওই নির্মাণ ভাঙার কাজ


স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নজর এড়িয়ে তৈরি হয়েছে ওই পাঁচতলা আবাসন। অবৈধভাবে তৈরি একটি আবাসন, আর একটির উপর হেলে পড়তেই টনক নড়ল প্রশাসনের। গারেডেনরিচে শুরু হয়েছে বেআইনি ওই নির্মাণ ভাঙার কাজ। এ নিয়ে যদিও মন্তব্য করতে নারাজ এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলর সামস ইকবাল। 


পাশাপাশি, নির্মীয়মান দু'টি বহুতলটি মোটেই খালি নয়। বরং বাঁ দিকের বহুতলে বাসিন্দারা বসবাস করতেও শুরু করেছেন। ডান দিকেরটির কাজ এখনও অনেক বাকি। সেই অবস্থাতেই বেধেছে বিপত্তি। কাজ অসম্পূর্ণ থাকা বহুতলটি হেলে পড়েছে পাশের আবাসনের উপর। আর হেলে পড়া বহুতলের চাপে ফাটল ধরেছে পাশের বহুতলটিতে।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: প্রচণ্ড ব্যস্ত শাহরুখ, তাই দেবই ভরসা! অভিনব প্রস্তাব মমতার


এই ঘটনায় আতঙ্কে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দু'টি আবাসনই তৈরি হয়েছে অবৈধ ভাবে। জি প্লাস থ্রি হওয়ার কথা থাকলেও তৈরি হয়েছে পাঁচতলা আবাসন। বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে দিন কাটছে বাসিন্দাদের। প্রশাসনের নজর এড়িয়ে কী করে তৈরি হল এমন বহুতল, উঠছে প্রশ্ন।


হেলে পড়া বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা


বিষয়টি নিয়ে ১৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সামস ইকবালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি পুরসভা দেখছে। যা ব্যবস্থা নেওয়ার পুরসভা নেবে। বুধবার থেকেই হেলে পড়া বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু করেছে কলকাতা পুরসভা। তবে সকলের নজর এড়িয়ে কী ভাবে এই পরিস্থিতি তৈরি হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। কিন্তু পুরসভা বিষয়টি দেখছে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করা ছা়ড়া এ নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে রাজি হননি স্থানীয় কাউন্সিলর। তাঁর এলাকায় কী করে এমন নির্মাণ হল, তা নিয়েও কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে এই গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ ক্ষতিগ্রস্ত আবাজনের বাসিন্দারায স্থানীয়দের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।