কলকাতা: করোনার থাবা এ বার গগনচুম্বী আরবানা আবাসনেও (Urbana Residence)। সেটিকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন (Micro Containment Zone) ঘোষণা করল কলকাতা পুরসভা (Kolkata Municipal Corporation)।বিলাসবহুল ওই আবাসনের ৪১ জন করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। তাতেই এই পদক্ষেপ। গোটা আবাসনের জীবাণুমুক্তকরণ (Sanitisation) করল কলকাতা পুরসভা। ওই আবাসনে তাবড় তারকা-শিল্পী-সহ বিত্তশালীদের বাস। সকলে যাতে কোভিড বিধি মেনে চলেন, তা নিশ্চিত করছে পুরসভা।


তবে শুধু আরবানাই নয়, মঙ্গলবার শহর কলকাতার একাধিক এলাকাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এ দিন মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে খিদিরপুরের আইডিয়াল আবাসন। সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। করোমনা মোকাবিলায়  সল্টলেকের সিবি ব্লকের ৮৬ থেকে ৯০ নম্বরের বাড়িগুলিকেও মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বিধাননগর উত্তর থানার তরফে আজ মাইকে প্রচারও করা হয় সেখানে। বিভিন্ন বাড়ির সামনে ব্যারিকেড করা হয়েছে। সূত্রের খবর, বিধাননগর কর্পোরেশন এলাকায় গত ৮ দিনে প্রায় ২৫০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। 


আরও পড়ুন: Containment Zone: মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে চিহ্নিত খিদিরপুরের আইডিয়াল আবাসন


একই ভাবে, ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকায় গত তিনদিনে ৩০ জনেরও বেশি করোনা আক্রান্ত। ১৭টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। যাঁদের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রয়েছেন, তাঁদের বাড়ির লোককে বাইরে বেরোতে নিষেধ করেছে প্রশাসন। যে কোনও সাহায্যের প্রয়োজনে ফোন নম্বর দেওয়া হয়েছে বাসিন্দাদের।


সরকারের তরফে সতর্কতা অভিযান চালানো হলেও, শহরের একাধিক এলাকায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। এর জন্য যদিও রাজ্যকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধী শিবিরের নেতারা। রাজ্য বিজেপি-র প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিধিনিষেধের বালাই নেই। সবাই মজা করছে। পাঠশালা বন্ধ, অথচ পানশালা খোলা। এই জন্যই বাংলায় করোনা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।” যদিও তাঁর দিকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দেন তৃণমূলের সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁর বক্তব্য, “পাঠশালা-পানশালা নিয়ে না ভেবে দিলীপ বরং গোশালা নিয়ে ভাবুন।”