অর্ণব মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পুজোর আগে উপহার। নতুন রূপে সেজে উঠেছে কলকাতা পুরসভার (Kolkata Municipality Corporation) ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড (Ward no 87)। রবীন্দ্র সরোবর এলাকা সংলগ্ন এই এলাকা। পুজোর আগে এখানে তৈরি হয়েছে বনবীথি। মূলত শিশু ও প্রবীণদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই এলাকা। নাম দেওয়া হয়েছে 'খেলা হবে উদ্যান'।  


কলকাতা শহরে মাঠ বা পার্কের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, শিশু ও প্রবীণদের জন্য ঘোরাও জায়গাও তেমন নেই। সেই কথা ভেবেই এমন উদ্যোগ ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড কর্তৃপক্ষের। সবুজ ঘাসে সেজে তোলা মাঠ উপহার দেওয়া হয় নাগরিকদের। নিরাপদ রাখতে চারপাশ ফেন্সিং দিয়ে ঘেরা। পাশ দিয়ে গিয়েছে সাজানো ফুটপাত (Footpath), বাঁধানো। কলকাতার বুকে ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডে এভাবেই গড়ে উঠেছে একখণ্ড সবুজের ঠিকানা- 'খেলা হবে উদ্যান'। ইট-কাঠ পাথর ঘেরা তিলোত্তমায়, শিশুদের খেলাধুলোর নতুন জায়গা হতে চলেছে এটি। পাশাপাশি প্রবীণরাও সেখানে সময় কাটাতে পারবেন। নতুন করে সেজে উঠেছে কলকাতা পুরসভার ৮৭ নম্বর ওয়ার্ড। পুরো কাজটাই স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে তৈরি হয়েছে। এর ফলে পুজোর আগে চেহারাই পাল্টে গিয়েছে সার্দান অ্যাভিনিউ, রবীন্দ্র সরোবর চত্বরের।


ফুটপাতের পাশের বাগানেও নজর:
ফুটপাতে যেমন গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তেমনই পাশের বাগানকেও এভাবেই নতুন প্রাণ দেওয়া হয়েছে। পুজোর কথা মাথায় রেখে আলোয় সাজিয়ে তোলা হয়েছে সবুজ প্রাঙ্গন। পাশাপাশি গানও বাজানো হবে। আগে এই মাঠে ছিল মাটি-কাদা। সেখানেই এতদিন ধরে কাজ হয়েছে। আর তা পাল্টে গিয়েছে সবুজ ঘাসে। সেখানে সকালে-বিকেলে খেলাধুলো করতে পারবেন যেখানে বিকেলে খেলাধুলো করতে পারবে কচিকাচারা। সাইকেলও চালাতে পারবে। বিকেলে আড্ডা বা সান্ধ্য বৈঠকে বসতে পারবেন এলাকার প্রবীণরা। বিশেষভাবে সক্ষমদের কথা ভেবে ফুটপাতে হুইল চেয়ার নিয়েও যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিরাপত্তার কথা ভেবে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। এর আগে খেলা দিবস পালন করা হয়। এবার সেই নাম ধরেই পার্ক করা হল কলকাতায়। 


পুরসভার টাকায় নয়, ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের মণীষা বসু কাউন্সিলর নিজের উদ্যোগে, কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটির (Corporate Social Responsibility) টাকায় তৈরি হয়েছে এই বনবীথি।


আরও পড়ুন: মিড-ডে মিল নিয়ে ধুন্ধুমার স্কুল, বিজেপি কর্মীদের মারধরের অভিযোগে পুলিশকে নিশানা শুভেন্দুর