পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: বেহালার পর্ণশ্রীতে মা ও ছেলেকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে রক্তাক্ত মৃতদেহ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় পেশায় শিক্ষিকা বছর পয়তাল্লিশের সুস্মিতা মণ্ডল ও তাঁর ছেলে তমোজিত্ ঘরে ছিলেন। মহিলার স্বামী, বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী তপন মণ্ডল ছিলেন অফিসে।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, চপার দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। ২টি আলাদা ঘরে পড়ে ছিল মা ও ছেলের মৃতদেহ। একজনের বেশি আততায়ী থাকার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ, ঘরে ধাক্কাধাক্কির চিহ্ন মেলেনি। প্রতিবেশীরা কেউ চিত্কারও শুনতে পাননি।
পুলিশ সূত্রে দাবি, যে মোবাইল ফোনে ক্লাস চলছিল, সেটি উধাও বলে দাবি। এই বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারে পুলিশ। পুলিশ জানতে পেরেছে, বিকেলে প্রাইভেট টিউটর এসে সাড়া না পেয়ে ফিরে যান।
পুলিশ সূত্রে খবর, মহিলা অতিরিক্ত সতর্ক ছিলেন। আই হোল দিয়ে না দেখে তিনি দরজা খুলতেন না। তদন্তকারীদের প্রশ্ন, তাহলে কি পরিচিত কাউকে দেখেই দরজা খুলেছিলেন মহিলা?
স্বামী যখন ফ্ল্যাটে আসেন, তখন ঘরের দরজা ভেজানো ছিল। ঘর থেকে কিছু সোনার গয়না, মোবাইল ফোন ও চাবি খোয়া গেছে বলে তদন্তকারীদের দাবি। এই ঘটনায় মহিলার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গতকাল পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার বামুনারা এলাকায় কুকুরের বেল্ট গলায় পেঁচিয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সহকারী ম্যানেজার।
পুলিশ সূত্রে খবর, কটকের বাসিন্দা বিপ্লব পরিয়াদ সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কে কর্মরত। ২০১৯-এ বিয়ের পরে কাঁকসার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন ওই দম্পতি। পুলিশ জানিয়েছে, জেরায় ব্যাঙ্ক অফিসারের দাবি, স্ত্রীর উচ্চাশার কারণে দাম্পত্য বিবাদ লেগেই থাকত।
গতকালও এনিয়ে অশান্তি হওয়ায় তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওই আধিকারিককে গ্রেফতার করেছে কাঁকসা থানার পুলিশ।