কলকাতা : কলকাতায় ফের গতির বলি যুবক ! গতকাল মা উড়ালপুলে দুই জনের মৃ্ত্যুর পর, আজ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের । শেষ রাতে ফুলবাগান থানা এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। ইএম বাইপাসে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মারেন ওই বাইক চালক। তার জেরে রাস্তায় ছিটকে পড়ে গুরুতর জখম হন তিনি। সেই অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। যুবকের মাথায় কোনও হেলমেট ছিল না বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।


মা উড়ালপুলে দুর্ঘটনা !


Speed Thrills But Kills । পথ নিরাপত্তা ও নিরাপদ ড্রাইভিং সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ব্যবহৃত হয় এই স্লোগান। কিন্তু কে শোনে কার কথা! খনিকের বেপরোয়া গতি ফের শেষ করে দিল সবকিছু। রবিবার সকালে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী হয় মা উড়ালপুল। ফ্লাইওভার থেকে নীচে পড়ে মর্মান্তিক মৃত্য়ু হয় দুই বাইক আরোহীর।


স্থানীয় সূত্রে খবর, ছুটির দিন সকালে বাইক নিয়ে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন দুই বন্ধু। আর ফেরা হল না। 


পুলিশ সূত্রে খবর, ১৮ বছর বয়সি দুই তরুণই বউবাজারের বাসিন্দা। সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ চিংড়িঘাটা থেকে পার্ক সার্কাসের দিকে যাচ্ছিলেন দিশাদ আলম ও আনিস রানা। অনেকটাই বেশি ছিল বাইকের গতি। পরমা আইল্যান্ডের কাছে মা উড়ালপুলে একটি বাঁক রয়েছে। অত্যধিক গতির কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গার্ডওয়ালে ধাক্কা মারে বাইকটি। ধাক্কার অভিঘাত এতটাই বেশি ছিল যে সঙ্গে সঙ্গে বাইক সহ দুজনেই ফ্লাইওভার থেকে ছিটকে নীচে পড়ে যান। বাইক চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও আরোহীর মাথা ফাঁকাই ছিল।


তিলজলা ট্রাফিক গার্ড ও প্রগতি ময়দান থানার পুলিশ এসে দু'জনকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে দু'জনকেই মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। 


গত ৩০ অক্টোবর মা উড়ালপুলেই দ্রুত গতিতে আসা একটি গাড়ি ট্যাক্সির পিছনে ধাক্কা মারে। গুরুতর আহন হন গাড়ি চালক।


৪ সেপ্টেম্বর উড়ালপুলের গার্ডওয়াল টপকে প্রায় ৮০ ফুট নীচে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। 


২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সায়েন্স সিটির সামনে মা উড়ালপুলে ডিভাইডার ও ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মেরে গাড়ি উল্টে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়। ওই বছর ২ মার্চ অ্যাম্বুল্যান্সে ধাক্কা মারে বেপরোয়া গাড়ি।  অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পান রোগী-সহ যাত্রীরা। 


দুর্ঘটনা রুখতে বার বার সতর্ক করছে প্রশাসন। কড়া হয়েছে ট্রাফিক রুল। তারপরেও দেখা যাচ্ছে এমন মর্মান্তিক ছবি।