সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে। পুলিশ সূত্রে খবর, কৌস্তভের মন্তব্যের ভিত্তিতে বড়তলা থানায় লিখিত অভিযোগের কারণেই এই গ্রেফতার। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩, ৫০৪, ৫০৫, ৫০৬, ৫০৯, ৩৫৪A এবং ১২০B ধারায় আইনজীবী ও কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা হয়। 


রাতে বাড়িতে পুলিশি হানা নিয়ে রীতিমতো আতঙ্কিত কৌস্তভের পরিবার। যদিও ছেলের কাজে গর্বিত মা-বাবা। তবে কৌস্তভের গ্রেফতারির পর বিনিদ্র রজনী কাটিয়েছেন তাঁর মা-বাবা। এদিন মা শিউলি বাগচী বলেন, 'যেভাবে ওঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে সেটা খুব খারাপ লেগেছে। ওতো জঙ্গি নয়। বলেছিল সকালে একটা ফোন করতে, তা না করে রাতে নিয়ে গেল। এমনিতে আমি খুব গর্বিত অনুভব করছি আমার ছেলের জন্য। এতো বড় একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে ও। আজকে ক'টা লোক পারে এমন কাজ করতে? বইটা ব্যানড হলে এত কথা আমাদের দিদিভাই কি বলতে পারতেন? তবে আমি গর্বিত, ছেলে দেশের জন্য কাজ করেছে। আমি নিজেও এই দলের সঙ্গে যুক্ত। ভাল কাজ করেছে সততার কাজ করেছে এটাই চাই।                        


বাবা কুশল বাগচী বলেন, 'অত রাতে কলিং বেলের আওয়াজ শুনে বুকটা কেঁপে উঠেছিল। বেরিয়ে দেখি পুলিশ গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। কথা বলতে শুরু করি আমিই। ছেলের কথার কোনও মান্যতাই দেয়নি। স্বৈরাচারী শাসকের স্বৈরাচারী মনোভাব। কোনও অ্যারেস্ট মেমো আনা হয়নি। কংগ্রেসকে ভালবাসে কৌস্তভ। বাবা হিসেবে আমিও গর্বিত।'


আরও পড়ুন, 'মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন, কোর্টে ও রাজপথে দেখা হবে', গ্রেফতার হয়ে হুঙ্কার কৌস্তভের


কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে বলা জানা গিয়েছে। যদিও এদিন পুলিশ ভ্যানে ওঠার সময় কৌস্তভ বলেন, ভয় দেখিয়ে কণ্ঠরোধ করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রী ভয় পেয়েছেন। রাজনীতিক হিসেবে এটা আমার জিত।' সূত্রের খবর, রাতে জামিন অযোগ্য ধারা দেওয়া নিয়ে পুলিশের সঙ্গে বাড়িতেই তুমুল কথা কাটাকাটি কৌস্তভের। গতকাল শেষ রাতে কৌস্তভ বাগচীর বাড়িতে যায় বড়তলা থানার পুলিশ। সকালের দিকে পুলিশের নতুন টিমও যায় কৌস্তভের বাড়িতে। অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন কৌস্তভ। সাংবাদিক বৈঠকের জেরে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে, অভিযোগ কৌস্তভের। এদিন কৌস্তভের গ্রেফতারির পর বড়তলা থানার সামনে বিক্ষোভ কংগ্রেসের।