কলকাতা : 'থেমে থাকার প্রশ্ন নেই, আন্দোলন আরও তীব্রতর হবে। জামিন পাওয়ার পরদিন সকালে ফের হুঙ্কার ছাড়লেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। পাশাপাশি তিনি জানিয়ে দিন, 'মুখ্যমন্ত্রী অধীর চৌধুরীর কাছে দুঃখপ্রকাশ করলে, পা ধরে ক্ষমা চাইব।'


সকালে গ্রেফতার, বিকেলেই জামিন ! মুখ্য়মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খোলায়, কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ! কিন্তু, আদালতে তাদের কোনও যুক্তি ধোপে টেকেনি ! শনিবার বিকেলেই কৌস্তভকে জামিন দেয় ব্য়াঙ্কশাল কোর্ট! তবে তার মধ্য়েই প্রতিবাদে রাস্তায় নামে কংগ্রেস। আর পাশে দাঁড়ায় সিপিএম। আর এভাবেই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি ফের একজোট করে তোলে বাম-কংগ্রেসকে। ফলে বঙ্গ রাজনীতি কার্যত আড়াআড়ি ভাগ হয়ে যায় !একদিকে তৃণমূল, একদিকে সিপিএম-কংগ্রেস। এদিকে এই ইস্যুতে একের পর এক মন্তব্য ভেসে আসছে বিজেপির তরফেও।


বৃহস্পতিবার মুখ্য়মন্ত্রী অধীর চৌধুরীকে ব্য়ক্তিগত আক্রমণ করার ২৪ ঘণ্টা পরই, পাল্টা হুঙ্কার ছেড়েছিলেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। তিনি গ্রেফতার হওয়ার পর, তৃণমূল সরকারের নিন্দায় গর্জে ওঠেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। কৌস্তভের গ্রেফতারির প্রতিবাদে জেলায় জেলায় বিক্ষোভে নামে কংগ্রেস। মুর্শিদাবাদের একাধিক জায়গায় মিছিল করেন কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা। কৌস্তভের গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস। জামিনের পর মুখ্যমন্ত্রীকে (CM Mamata Banerjee) চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছিলেন কৌস্তভ বাগচি। বলেছিলেন, 'আগে মাথার চুল কামাব তারপর কথা বলব। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যতক্ষণ না উৎখাত করতে পারছি, আমার মাথার চুল আমি গজাব না।' 


এদিকে ডিএ আন্দোলনের মঞ্চে দাঁড়িয়ে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন কৌস্তভ। তিনি বলেন, 'কারও ক্ষমতা নেই, সরকারি কর্মচারীদের ডিএ না দিয়ে ছাড়ে। শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এদের খাওয়া-দাওয়া নিয়ে কথা বলছেন। দিনের পর দিন আপনার নেতাদের ঘুষ খাওয়া নিয়ে তো একটা কথাও বলছেন না। আপনার নেতারা যে মানুষকে লুটেপুটে টাকা খেয়ে হৃষ্টপুষ্ট হয়ে গেছেন। জেলে এক মন্ত্রী আছেন, তিনি নাকি এত খেয়েছেন, যে ওঠাচলাতেও অসুবিধা। মুখ্যমন্ত্রী যদি এই চোর মন্ত্রীগুলোর খাওয়া একটু কমাতে পারেন। তাহলে আমরা কেন্দ্রীয় হারের থেকে বেশি ডিএ দিতে পারব।' ডিএ আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে রাজ্যকে নিশানা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর