কুলতলি : আরজি কর কাণ্ডের বিচার এখনও অধরা। নাগরিক আন্দোলন স্তিমিত হয়ে গেলেও, চলছে বিচার-প্রক্রিয়া। বিচারের অপেক্ষায় নির্যাতিতার পরিবার। এই আবহে কুলতলিতে নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত। সাজা ঘোষণা করল বারুইপুর পকসো আদালত। দোষী সাব্যস্ত মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা ঘোষণা করা হয়েছে। নাবালিকা ধর্ষণ-খুনের ৬১ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা হল।
গতকালই নাবালিকাকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় মুস্তাকিন সর্দারকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল বারুইপুর POCSO আদালত। আর আজ সকালে প্রথমে শুনানি হয়, সাজার মেয়াদ কত হবে ? দীর্ঘক্ষণ পর সাজা শোনান বিচারক। ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বিচারক। আজ শুনানির সময় সরকারি আইনজীবী এবং আসামী পক্ষের আইনজীবী...দুই পক্ষই সওয়াল করেন। যেভাবে এই নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের পর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছিল, তা বিরল।
সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, "এদের বেঁচে থাকা সমাজের পক্ষে খারাপ। শুনানিতে বলেছি, এটা বিরলতম ঘটনা। আদালত সেটা মেনে নিয়েছে। তিনটে কারণের জন্য ওকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অপহরণ মামলার জন্য ওকে যাবজ্জীবন দেওয়া হল। প্রমাণ লোপাট করার জন্য সাত বছর দেওয়া হল। মেয়েটিকে ওর বাবা বলেছিল, তুমি আস্তে আস্তে সাইড ধরে হেঁটে চলে যাও। কিন্তু, মেয়েটিকে ও (দোষী) সাইকেলে তোলে। বলে, বাড়িতে পৌঁছে দেবে। মিথ্যে করে বলে। দুই জন সাক্ষী দেখতে পান, ওকে সাইকেলে তোলা হচ্ছে। একজন জিজ্ঞাসা করেন, ওকে সাইকেলে কেন তোলা হচ্ছে। তখন সে (দোষী) বলে, আমাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে। মিথ্যে কথা। ওকে বলা হয়নি। তারপর নাবালিকাকে নিয়ে পরিত্যক্ত জায়গায় যায়। সেখানে ওর সঙ্গে নৃশংস অত্যাচার করা হয়। তারপর ওকে খুন করে। ওকে মাথা থেঁতলে মারা হয়েছে। মাথায় প্রচুর আঘাত পাওয়া গেছে। সারা শরীরে ৩৮টি আঘাত পাওয়া যায়। বিজ্ঞানসম্মত প্রমাণের মাধ্যমে এই মামলাটা প্রমাণ করা গেছে।"
দোষীর মধ্যে এদিন কি কোনও অনুশোচনা দেখা যায় ? এ প্রসঙ্গে আইনজীবী বলেন, "আজ আমি বলেছি, যখন মৃতদেহ উদ্ধার হয় তখন দোষী বলেছিল, প্রেম করতে মেয়েটিকে নিয়ে এসেছিলাম। আজকে দাঁড়িয়ে যখন তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় তুমি কী বলতে চাও, তখন সে বলে সে নির্দোষ । তাকে ফাঁসানো হয়েছে।"
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে