কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য় রাজনীতি এখন উত্তাল।  প্রাথমিক

  থেকে উচ্চপ্রাথমিক  কিংবা এসএসসি। সব ক্ষেত্রেই যোগ্য় প্রার্থীদের বঞ্চিত করে, টাকার বিনিময়ে অযোগ্য়দের নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। যে মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, তৃণমূল বিধায়ক এবং প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য-সহ একদা দণ্ডমুণ্ডের কর্তারা এখন বন্দি! এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে কোণঠাসা তৃণমূল এবার শুভেন্দু অধিকারীকেও তদন্তের আওতায় আনার দাবি আরও জোরাল করল।


'শুভেন্দু অনেক নাম সুপারিশ করেছিল'


তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'শুভেন্দু অনেক নাম সুপারিশ করেছিল। ৮৪২ জনের নাম সুপারিশ। তাতে ৫৫ জনের চাকরি গেছে। ইডি কবে ওকে প্রশ্ন করবে?'


অতীতে এই বিষয়ে একই অভিযোগ এনেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরে চাকরি বিক্রি নিয়ে নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ' আজকে লজ্জা লাগে এখানকার কিছু হার্মাদ আমাদের থেকে সব কিছু নিয়েছে। ওদের হাতে আমরা চাকরিগুলি দিয়েছিলাম। ওরা আমাদের হাত থেকে চাকরি নিয়ে বিক্রি করেছে। আমরা জানতাম না। পুরুলিয়ায় একটাও দেয়নি। ওখানকার চাকরি এখানে বেচে দিয়েছে। আজকে সিবিআই–ইডি নিয়ে বড় বড় কথা বিজেপি নেতাদের।'                         

শুভেন্দুর পাল্টা জবাব


বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পাল্টাা দাবি করেছিলেন, ‘তৃণমূলে যখন ছিলাম বেআইনিভাবে চাকরি দিয়েছি একটা নাম বলুন, একটা প্রমাণ দিন মুখ্যমন্ত্রী। আপনার বাড়ির সামনে হাজরা মোড়ে দাঁড়িয়ে ক্ষমা স্বীকার করব। প্রমাণ করতে পারলে রাজনীতিও ছেড়ে দেব।’’                                      


সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন একটাই, দুর্নীতি যখন হয়েছে, তখন নেপথ্য়ে কারা কারা? আদৌ কি কোনওদিন বেরোবে? নিয়োগের দাবিতে, মাসের পর মাস, বছরের পর বছর, রাস্তায় বসে রয়েছেন বহু আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থী। রোদ-ঝড়-জল, উৎসব-অনুষ্ঠান সবই কাটছে পরিবার থেকে দূরে, খোলা আকাশের নিচে। চাকরি পেয়ে ওদের মুখের আঁধার কাটবে কবে? শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন পূরণ হবে কতদিনে? আজও সেই উত্তর খুঁজে চলেছে এরা।