কলকাতা: 'একমাসের মধ্যে ইউক্রেনে যা বিস্ফোরণ হয়েছে, তা বাংলার থেকে কম। এনআইএকে আটকানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ফায়ার ব্রিগেডকে কাজে লাগিয়ে মামলা সাজাচ্ছেন', ইতিমধ্যেই তোপ দেগেছেন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার শাসকদলের বৈঠকে এল পাল্টা নিশানা। এই তৃণমূলের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল কংগ্রের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এবং জয়প্রকাশ মজুমদার (Kunal Ghosh and Jay Prakash Majumdar)।


এদিন তৃণমূলের বৈঠকে শুভেন্দুকে পাল্টা নিশানা করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। শাসকদলের তরফে দাবি করা হয়, 'বিরোধী দলনেতা নিজে আকণ্ঠ দুর্নীতিতে ডুবে, শুধুমাত্র বিজেপিতে গেছেন নিজেকে বাঁচাতে ১৯ ডিসেম্বর ২০২০ সালে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেসে কর্মীরা সম্মান পাচ্ছেন না, দাবি করেছিলেন শুভেন্দু।' এখানেই শেষ নয়, আরও দাবি করা হয়েছে, 'করোনা হয়েছিল শুভেন্দুর, কেউ তার খবর নেননি, শুধু অমিত শাহ খবর নিয়েছেন, দাবি করেছিলেন শুভেন্দু।'


পাশাপাশি ওই বৈঠকে তৃণমূলের তরফে বলা হয়,' শুভেন্দু যখন দল ছাড়েন তখন তিনি পাঁচটি জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বে ছিলেন, তিনটি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন, প্রভূত সাম্রাজ্য তাঁর অধীনে ছিল। ২৭.১১.২০ তে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। ১ মার্চ রাজ্যে শহিদ মিনারে সভা করেন অমিত শাহ, আজ যারা বিজেপির বি-টিম হয়ে কাজ করছে, সেই সিপিএম সিএএ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। ২০২০ সালের নভেম্বরের ৫ এবং ৬-এ অমিত শাহ আসেন, তখন শুভেন্দুর যোগদানের শর্ত ফাইনাল হয়। তখন মুকুল রায় যোগদান করেননি, তখন সিদ্ধার্থনাথ সিং দায়িত্বে ছিলেন।'


তৃণমূলের ওই বৈঠকে বলা হয়,' ২০১৬-র পরে কৈলাস বিজয়বর্গীয় দায়িত্বে আসেন বিজেপির, তখন বিজেপিতে যোগদান করেন মুকুল। তখন সারদা ও নারদ তদন্ত চলছে, যখন মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করেন। মুকুল রায়ের ওপর চাপ ছিল তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙার। শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি-র যোগদানে আপত্তি করেছিলেন সুব্রত চট্টোপাধ্যায়।'


আরও পড়ুন, জানেন কি রান্নাঘরের এই মশলা জীবন বদলে দিতে পারে ?


আরও পড়ুন, গরমে কোন সরবতগুলি না খেলেই নয় ? কোনগুলি খুবই স্বাস্থ্যকর ? 


অপরদিকে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করা নিয়ে এদিন প্রশ্ন তোলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন 'জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগিতা করা উচিত, এত ভয় কিসের ? ...আমি তো আদালতে গিয়ে আমাকে ডাকা আটকানো নিয়ে কখনও কিছু বলিনি। তদন্তের সম্মুখীন হওয়া উচিত, দুর্নীতিগ্রস্ত কে সবাই জানেন। নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা তদন্ত, পুর নিয়োগ দুর্নীতি তদন্ত আটকাতে ও বিরোধী দলনেতাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় আদালতে ৩৩০ কোটি খরচ করা হয়েছে' বলে বিস্ফোরক দাবি শুভেন্দু অধিকারীর।