কলকাতা: এবার কুণালের নেতৃ্ত্বে চাকরিপ্রার্থীদের 'হাইকোর্ট-চলো'! মামলার 'ফাঁসে' আটকে চাকরি, দ্রুত নিয়োগের দাবিতে বিক্ষোভ। ২০১৬-র SLST শারীর-কর্ম শিক্ষায় চাকরিপ্রার্থীদের মিছিল। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়েই মিছিল আটকে দিল পুলিশ। 


এদিন কুণাল ঘোষ বলেন, 'এরা হচ্ছে SLST ওয়ার্ক এডুকেশন এবং ফিজিক্যাল এডুকেশন। এরা যোগ্য। পুরো দস্তুর যোগ্য। এদের কোনও সিবিআই নেই। সুপ্রিম কোর্টে সম্পর্ক নেই। রাজ্য সরকার, এদের দাবিতে সাড়া দিয়ে, সব আইনি দিক খতিয়ে দেখে এদের নিয়োগ দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিকাশ ভট্টাচার্য একটা অন্যায় মামলা করে, এদের নিয়োগ আটকে রেখেছে।...অবিলম্বে  প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ করা উচিত।'


গতবছর ২২ এপ্রিলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ, ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করেছিল। ফলে চাকরি গিয়েছিল ২৫ হাজার ৭৫৩ জনের। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছিল সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার, SSC, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং চাকরিহারাদের একাংশ। সর্বোচ্চ আদালত জানতে চায় যোগ্য-অযোগ্যদের আলাদা করা সম্ভব কিনা। এরই মধ্যে নিজেদের যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা দাবি করে,   কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত যাওয়ার জন্য পথে নেমেছিলেন SLST-র আন্দোলনকারীরা।


 ওয়াই চ্যানেলে আন্দোলন চলছিলই।এরপর ফেব্রুয়ারির শুরুতেই চাকরি বাঁচিয়ে রাখতে ফের রাস্তায় নেমেছিলেন ২০১৬-র SLST শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের কালীঘাট অভিযান ঘিরে ধুন্ধমারকাণ্ড হয়েছিল ময়দান ও ধর্মতলা চত্বর। আন্দোলনকারীদের ধাক্কা মেরে, টেনে প্রিজন ভ্যান এবং বাসে তুলেছিল পুলিশ। যদিও আন্দোলন থামবে না বলে হুঁশিয়ারিও দিয়ে রেখেছিলেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। আন্দোলনকারী এক SLST শিক্ষিকা বলেছিলেন, 'আমাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে, আমাদের মনে হচ্ছে যেন আমরা কোনও বিশাল বড় চোর। চোর ছেচড়... সেরকম করা হচ্ছে। কী করব? আমাদের তো দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।' চাকরি বাঁচিয়ে রাখতে ফের রাস্তায় নামলেন শয়ে শয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা।


 ফের গায়ের জোরে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেছিল পুলিশ। টেনে-হিঁচড়ে, ধাক্কা মারতে মারতে তোলা হল গাড়িতে। তারপরও ঠেকানো গেল না আন্দোলন। ২০১৬-র SSC-র চাকরিপ্রাপক SLST-র শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কালীঘাট অভিযান ঘিরে, বৃহস্পতিবার ধুন্ধুমার বাঁধল কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে।আন্দোলনকারী SLST শিক্ষিকা বলেছিলেন, আমরা চাইছিলাম মুখ্যমন্ত্রীর এই হস্তক্ষেপ, আমাদের এই চাকরি বাঁচানোর...। সেই ২৭ ডিসেম্বর থেকে ওয়াই চ্যানেলে রাত কাটাচ্ছি খোলা আকাশের নীচে। কোনওদিনও যাননি। তো আমরা চাইছিলাম, ওঁর হস্তক্ষেপ। 


আরও পড়ুন, 'বাজারে রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় BJP-তে যাবে..' !


'সবাই শিক্ষক হিসাবে কাজ করার জন্য নিয়োগপত্র চাইছেন। কিন্তু কোথায় নিয়োগ হবে? সরকারি সকুলের কি আগের মতো অবস্থা আছে যেখানে স্কুল ভর্তি ছাত্র থাকত? এমনও স্কুল আছে যেখানে ২ জন ছাত্রের জন্য ৪জন শিক্ষক আছেন। প্রায় প্রতি জায়গায় অতিরিক্ত শিক্ষক। কোথায় নিয়োগ করবেন? ২০১৬-র কর্মশিক্ষা-শারীরশিক্ষার নিয়োগ মামলায়,  এমনই মন্তব্য করেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। রাজ্য সরকারের তরফে সওয়াল করা হয়েছিল, ২৫ জন মামলাকারীর জন্য শূন্যপদ রেখে বাকিদের নিয়োগ করার অনুমতি।