কলকাতা :  পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের পরে ঘাসফুল থেকে পদ্মফুল শিবিরে লাফের হিড়িক উঠেছিল। তৃণমূল ক্ষমতায় ফেরার পর আবার উল্টোস্রোত। তৃণমূল স্তরের কর্মী থেকে হেভওয়েট নেতা , ছেড়েছেন বিজেপি শিবির। বঙ্গ বিজেপির ঘরে এখন ভাঙনের পর ভাঙন। হালফিলেই ফিরহাদ হাকিম দাবি করেছিলেন, অনেক বড় নেতা যোগাযোগ রাখছেন তাঁদের সঙ্গে। নাম শুনলে চমকে যাবেন ! 
এই আবহেই এবার লকেট চট্টোপাধ্যায়কে উদ্দেশ্য করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের একটি ট্যুইট জল্পনা উষ্কে দিল। ট্যুইটে কুণাল লেখেন , '' ‘তারকা প্রচারককে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। ‘বিজেপির উপর্যুপরি অনুরোধ সত্ত্বেও ভবানীপুরে প্রচারে না আসায় ধন্যবাদ।  বন্ধু হিসেবে যেখানেই উনি থাকুন, ওঁর সাফল্য কামনা করি। এই বিশ্ব খুব ছোট। আশা করি সেইদিন ফিরে আসবে যখন আপনি রাজনৈতিক ইনিংস শুরু করবেন।’
দলবদলের হিড়িকের মধ্যে কেন এই ট্যুইট ? উঠেছে গুঞ্জন !! 
[tw]





[/tw]

যদিও এর কিছু পরেই লকেট ট্যুইটে জবাব দেন, আগে নিশ্চিত করুন যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভবানীপুরে না হেরে যান !





গত ১০ সেপ্টেম্বর বিজেপি রাজ্যে নির্বাচন ও উপনির্বাচনের জন্য হেভিওয়েট প্রচারকদের নাম ঘোষণা করে। প্রচার তালিকায় নাম ছিল স্মৃতি ইরানি ও হরদীপ সিং পুরীর। ছিল বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শাহনওয়াজ হুসেনের নাম। রাজ্য থেকে ছিল তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা, সুভাষ সরকার ও শান্তনু ঠাকুরের নাম। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল, এই প্রচারের হাত ধরেই ফের রাজনীতির আঙিনায় দেখা যাবে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে !! কিন্তু বিজেপির হয়ে প্রচার করা তো দূরে থাক, এরই মধ্যে নিজের দলই পাল্টে ফেলেছেন বাবুল। ছিলেন আরেক প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। এছাড়াও রাজ্য থেকে প্রচার তালিকায় নাম রয়েছে শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিন্হার। রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার করার কথা ছিল সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, স্বপন দাশগুপ্তের। কিন্তু লকেটকে ভবানীপুরে আসতে দেখা যায়নি। সোমবারই ভবানীপুর উপনির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন। আর আজই কুণাল ঘোষের ট্যুইট জল্পনা বাড়ায়।