কলকাতা: বস্তাভর্তি টাকার হিসেব মেলেনি এখনও পর্যন্ত। বরং সেই নিয়ে তুমুল বাগযুদ্ধ শুরু হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার টাকার সঙ্গে দলের কোনও সংযোগ নেই বলে দাবি তৃণমূলের (TMC) রাজ্য সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh)। অন্য দিকে, পার্থর টাকাতেই তৃণমূল সমৃদ্ধ হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন সিপিএম (CPM) সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Bikash Ranjan Bhattacharya)।


পার্থকে নিয়ে তৃণমূল-সিপিএম টানাপোড়েন


স্কুল শিক্ষক নিয়োগ মামলায়, দীর্ঘ দিন ধরেই তদন্তকারীদের নজরে পার্থ।  শুক্রবার সকালে আচমকাই তাঁর নাকতলার বাড়িতে হানা দেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট-এর তদন্তকারীরা। লেখানে তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া চিরকূটের সূত্র ধরে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতার সন্ধান মেলে। তাঁর বাড়িতেও হানা দেন তদন্তকারীরা। তাতে অর্পিতার বাড়ি থেকে ২১ কোটি ২০ লক্ষ টাকা এবং ৭৬ লক্ষ টাকার গনা উদ্ধার হয়। 


বিষয়টি সামনে আসার পর তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। দলীয় নেতৃত্বের নজর এড়িয়ে এতবড় দুর্নীতি সম্ভব নয় বলে মত বিরোধীদের। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ খারিজ করেছে। দলের হয়ে কুণাল বলেন, "তৃণমূলের সঙ্গে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের কোনও সম্পর্ক নেই। উদ্ধার হওয়া টাকার সঙ্গেও কোনও সম্পর্ক নেই তৃণমূলের। যাঁর বা যাঁদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে, এব্যাপারে তাঁরাই বলতে পারবেন।"


আরও পড়ুন: Partha Chatterjee: অসুস্থ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, ভর্তি করা হল SSKM-এর ICCU-তে


কিন্তু বিকাশের দাবি, "পার্থবাবুর টাকা ব্যবহার করেই সমৃদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। এখন বললে হবে এর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই?" এর পাল্টা কুণাল বলেন, "তৃণমূল কাউকে অন্যায় করতে বলেনি। তৃণমূলের সঙ্গে উদ্ধার হওয়া টাকার কোনও সম্পর্ক নেই। আই কোরের অনুকূল মাইতি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে উত্তরীয় পরিয়েছিলেন, পাশেই ছিলেন সেলিম। আগে এত সোশাল মিডিয়া ছিল না। নইলে আরও অনেক কিছু দেখা যেত।"


এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি পার্থ


শনিবার ইডি-র হাতে গ্রেফতার হন পার্থ। তার পর অসুস্থ হয়ে পড়লে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইডি-র আইনজীবীরা। তাঁদের দাবি, এসএসকেএম-কে এখন সেফ জোন মনে করছেন অনেকে। হেফাজত এড়াতে অসুস্থতার নাটক পার্থর। কেন এসএসকেএমকে বাছলেন অভিযুক্ত? কারণ তিনি জানেন এই হাসপাতালকে ম্যানেজ করতে পারবেন। পার্থর চিকিৎসা দিল্লি বা কল্যাণী এইমসেও হতে পারত। অভিযুক্তকে যদি হেফাজতেই না নেওয়া যায়, তাহলে নির্দেশ কার্যকর করা কী ভাবে সম্ভব, আদালতে এই প্রশ্নও ছুড়ে দেন ইডি-র আইনজীবীরা।