কলকাতা: কদিন আগেই দলের দুই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। সেদিনই এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে দলেরই (Kunal Ghosh Against Sudip Banerjee) সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে কার্যত বিস্ফোরক অভিযোগ করেছিলেন কুণাল ঘোষ। দলের সাংসদের বিজেপি-যোগের অভিযোগও করেছিলেন। মূল সমস্যা শুরু হয়েছিল উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের একটি প্রস্তুতি বৈঠকে কুণাল ঘোষকে না ডাকা নিয়ে। অভিযোগ ছিল আরও। তারই মধ্যে দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় কুণাল ঘোষকে শোকজের চিঠি ধরিয়েছেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সোমবারই দেখা গেল একেবারে উল্টো ছবি, হতে চলেছে 'চায়ে পে চর্চা'।


সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Sudeep Banerjee on Kunal Ghosh) বারবার কটাক্ষ কুণাল ঘোষের, তাই বরফ গলাতে এবার 'চায়ে পে চর্চা'? আজ সন্ধেয় সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক কুণাল ঘোষের। কুণাল এদিন বলেন, 'একটু আগে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করেছিলেন, সন্ধে সাতটায় চা খেতে যাব।' তাঁর আরও দাবি, 'অনিচ্ছাকৃত ভুল, অফিসে ডেসপ্যাচ থেকে চিঠি পাঠাতে ভুল হয়েছে, ফোন করে জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।'


দলের সাংসদের সঙ্গে শেখ শাহাজানের তুলনা করেছিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh on Sudeep Banerjee)। সেখানেই থেমে থাকেননি তিনি। দলের বর্ষীয়ান সাংসদ বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র। কুণাল ঘোষ বলেছিলেন, 'রাজ্যের সব জায়গায় তৃণমূল বনাম বিজেপি লড়াই চলছে। কিন্তু উত্তর কলকাতার ক্ষেত্রে বিষয়টি অন্য। সেখানে বিজেপিরই দুই প্রার্থী। একজন বিজেপির প্রতীকে ভোটে দাঁড়াবেন, আরেকজন লড়বেন জোড়াফুল প্রতীকে।' তিনি আরও বলেছিলেন, 'সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির লোক, উনি হাওয়া বুঝে সেই দিকে যান। সুদীপবাবুর সচিবের ছেলে বিজেপি নেতা।'                                


উত্তর কলকাতা জেলা তৃণমূলের সংগঠনের অবস্থা খারাপ হওয়া নিয়েও অভিযোগ জানিয়েছিলেন তিনি। কাঠগড়ায় দাঁড় করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে। কেন উত্তর কলকাতায় একটি স্কুলের চৌহদ্দির মধ্যে সাংসদের দলীয় অফিস তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।  


আরও পড়ুন: SSC-এর সব মামলা খারিজের দাবি নিয়ে হাইকোর্টে কল্যাণ, নিশানায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়