রুমা পাল, কলকাতা : দরজায় কড়া নাড়ছে লোকসভা ভোট। যে কোনও মুহূর্তে ঘোষণা হতে পারে ভোটের নির্ঘণ্ট।
ইতিমধ্য়েই রাজ্য়ে এসেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ( Central Forces ) । এরই মধ্যে ভোট প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ (Election Commission Of India Full Bench )। সোমবার রাজ্য় পুলিশের আইজি, সমস্ত জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, কলকাতা সহ সমস্ত কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক হয় কমিশনের ফুল বেঞ্চের। ভোটার তালিকা থেকে রাজ্য়ের আইনশৃঙ্খলা, জামিনঅযোগ্য় গ্রেফতারি পরোয়ানা, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, আয়-ব্য়য়ের হিসেব সহ সামগ্রিক বিষয় খতিয়ে দেখে কমিশনের ফুল বেঞ্চ।
এই বৈঠকেই ভুয়ো ভোটার নিয়ে সরব হয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ফুল বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়েন একাধিক জেলার জেলাশাসক। কমিশনের প্রশ্ন, কেন ভোটার তালিকা থেকে কেন মৃত ব্যক্তিদের বাদ দেওয়া হচ্ছে না? ভুয়ো ভোটার নিয়েও নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের প্রশ্নের মুখে পড়েন একাধিক জেলার জেলাশাসক।
বিভিন্ন জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের সঙ্গে এদিন বৈঠকে করে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। তাদের অভিযোগ,'অভিযোগ এসেছে একাধিক অফিসার সঠিক পদক্ষেপ করছেন না'। জেলাশাসক - পুলিশ সুপারের বৈঠকে চিফ ইলেকশন কমিশনার কড়া বার্তা দিয়ে বলেন, 'হিংসা পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে, নির্বাচন চলাকালীন হিংসার কোন জায়গা দেওয়া যাবে না'।
বিশেষত কয়েকটি জেলার পরিস্থিতি নিয়ে রুষ্ট হয় নির্বাচন কমিশন। দুই ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম, উত্তর দিনাজপুরের জেলার পরিস্থিতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে কমিশন। চিফ ইলেকশন কমিশনারের নির্দেশ, ' সবাইকে মাঠে নেমে কাজ করতে হবে। প্রত্যেক সপ্তাহে জেলাশাসক - পুলিশ সুপারদের রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠক করতে হবে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের জেলার নির্বাচনী আধিকারিকদের নিয়ে একসঙ্গেই বৈঠক করতে হবে। '
জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা প্রথম দফার ভোটের আগেই কার্যকরী করতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। দক্ষিণবঙ্গ ও কোচবিহারে নজরদারি আরও বাড়াতে হবে বলে নির্দেশ কমিশনের ফুল বেঞ্চের।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি, লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে রাজ্য়ে এসেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। ১৩ জনের দলে রয়েছেন দেশের মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার সহ কমিশনের শীর্ষ আধিকারিকরা। রাজ্য়ের মুখ্য় নির্বাচনী আধিকারিক, রাজ্য় প্রশাসনের কর্তা এবং রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করার উদ্দেশ্যেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা এসেছেন রাজ্যে।
আরও পড়ুন, আচমকা অবসরের সিদ্ধান্ত, ভোটের ময়দানে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়