পার্থপ্রতিম ঘোষ, কলকাতা: পালিয়ে যাননি, সিবিআই-কে (CBI) জানিয়েই সেবি-র (SEBI) কাজে দিল্লিতে গিয়েছেন। টেলিফোনে এবিপি আনন্দকে (ABP Ananda Exclusive) এক্সক্লুসিভ প্রতিক্রিয়া দিলেন গোপাল দলপতি (Gopal Dalapati)। তাঁর কথায়, 'মামলা মিটিয়ে ৩-৪ দিনে ফিরব।' হৈমন্তী-বিতর্কের মধ্যে গোপালের খোঁজ মিলছে না বলেও জল্পনা ছড়িয়েছিল। তার মধ্যেই এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ প্রতিক্রিয়া গোপালের। 


কী জানালেন?
এদিন ফোনে বিস্ফোরক দাবি করেছেন গোপাল। বলেন, 'মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদের সময় নথি নিয়েছিলেন কুন্তল ঘোষ। ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্টে নমিনির জায়গায় লেখা ছিল হৈমন্তীর নাম। সেটি দেখে হৈমন্তীর নাম বলছেন কুন্তল।' নিজেদের কুর্কীতি ঢাকতে এসব করছেন যুব তৃণমূল নেতা, দাবি গোপালের। জানালেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে হৈমন্তীর কোনও ভূমিকা নেই। প্রসঙ্গত, সিবিআই তলবের পর থেকেই বেশ কিছুদিন ধরে তাঁর খোঁজ মিলছে না বলে শোনা গিয়েছিল। যদিও গোপালের দাবি, পালিয়ে যাননি। সিবিআইকে জানিয়েই সেবির কাজে দিল্লি এসেছেন। এদিকে হৈমন্তীর নামে কোম্পানি খোলা নিয়ে গোপালের দাবি, স্ত্রী কসমেটিক্সের ব্যবসা করতে চাওয়ায় তা খোলা হয়েছিল। তবে এও জানালেন, হৈমন্তীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে তাঁর। সঙ্গে এও জানালেন, খুব তাড়াতাড়ি কলকাতায় গিয়ে সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দেবেন। হৈমন্তীও সঠিক সময়ে সামনে আসবেন বলে দাবি তাঁর। 


আর যা...
এদিকে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে পরতে পরতে নতুন রহস্য। গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় ও হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়ের বেহালার ফ্ল্যাটের ল্য়ান্ডিংয়ে আবর্জনার মধ্যে মিলেছে সিরিয়াল ও রোল নম্বর লেখা কাগজ। কীসের সিরিয়াল নম্বর, কাদের রোল নম্বর, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে রহস্য। চাকরি-বিক্রির সঙ্গে এই সিরিয়াল ও রোল নম্বর লেখা কাগজের কোনও যোগসূত্র রয়েছে, উঠছে প্রশ্ন। ফ্ল্যাটের বাইরে মিলেছে হৈমন্তী ও বিভিন্ন সংস্থার নাম লেখা ফাইল। সূত্রের খবর, গোপালের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিস দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে সিবিআই। এই গোপাল দলপতির মুখেই প্রথমবার উঠে এসেছিল কালীঘাটের কাকুর কথা। আবার তারপরই কুন্তল ঘোষ দাবি করেন নিয়োগ দুর্নীতির টাকা গেছে গোপালের স্ত্রী হৈমন্তীর কাছে।
নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে রহস্যময়ী এই নারীর নাম ভাসিয়ে, হঠাৎই যেন গোটা তদন্তকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন যুব তৃণমূলের রাজ্য় সম্পাদক কুন্তল ঘোষ।হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় গোপাল দলপতি ওরফে আরমান গঙ্গোপাধ্যায়ের স্ত্রী।নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সবার প্রথমে গোপাল দলপতির মুখে শোনা গিয়েছিল কালীঘাটের কাকুর কথা।কিন্তু সেই কালীঘাটের কাকু? সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম সামনে আনেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত তাপস মণ্ডল। আর কালীঘাটের কাকুর নাম উঠতেই, রহস্যময়ী নারী অর্থাৎ হৈমন্তীর নাম সামনে আনেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক কুন্তল ঘোষ।


আরও পড়ুন:ডার্বিতে এগিয়ে সবুজ-মেরুন? জবাবে কী বললেন ইস্টবেঙ্গল কোচ কনস্ট্যান্টাইন?