বিশ্বজিৎ দাস , হংসরাজ সিংহ, সুনীত হালদার , কলকাতা : কুড়মিদের রেল ও সড়ক অবরোধ চার দিনে পড়ল। কুড়মিদের তফশিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও তাদের মাতৃভাষাকে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবিতে কয়েকদিন ধরেই রেল অবরোধ চলছে। এর প্রভাব পুরুলিয়া ছাড়িয়ে বিস্তৃত হচ্ছে জেলা থেকে জেলায়। কুড়মিদের রেল অবরোধের জেরে আজও বাতিল করা হয়েছে আপ ডাউন মিলিয়ে ৪০টি ট্রেন। বেশ কয়েকটি ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা হয়েছে। রুট সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে আরও কয়েকটি ট্রেনের।
বিস্ফোরক দিলীপ
কুড়মি আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ। তিনি বলেন, ‘এভাবে রেল আটকে তফশিলি উপজাতি তালিকায় অন্তর্ভুক্তি হয় না। আন্দোলেনর পেছনে তৃণমূলের মদত আছে’। তিনি আরও বলেন ‘এর ফলে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাই’। জবাবে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'রেল তো কেন্দ্রের। তারা অবরোধ তুলতে পারছে না, সেটা কি রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা?'
কোন কোন ট্রেন বাতিল
শুক্রবার, বাতিল হওয়া ট্রেনের মধ্যে আছে, টাটানগর খড়গপুর স্পেশাল, টাটানগর হাওড়া স্টিল এক্সপ্রেস, ঝাড়গ্রাম ধানবাদ এক্সপ্রেস, টাটানগর দানাপুর এক্সপ্রেস, টাটানগর আসানসোল স্পেশাল, হাওড়া বারবিল জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, চক্রধরপুর টাটানগর এক্সপ্রেস সহ ৪০টি ট্রেন।
আটকে পড়ে একের পর এক বাস, লরি
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়ায় একাধিক রেল স্টেশন ও জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে। মঙ্গলবার ভোর থেকে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে আটকে পড়ে একের পর এক বাস, লরি, পণ্যবাহী গাড়ি। আন্দোলনের জেরে চরম দুর্ভোগে পড়েছে সাধারণ মানুষ। নাকাল এক বাসযাত্রী জানালেন, ' ৩ দিন ধরে এখনে আটকে আছি। খাবার দাবার কেউ দিচ্ছে না। কলকাতা থেকে আসছিলাম, এখানে আটকে আছি। ' অপর এক যাত্রী জানান, ' রাঁচি যাব। কাছে যা পয়সা ছিল, শেষ হয়ে গেছে। ঠিক নেই বাস কবে যাবে। কলকাতা থেকে আসছি। রাঁচি যাব।'
এমন জায়গায় জাতীয় ড়কের ওপর দাঁড়িয়ে কয়েক হাজার লরি, ট্রাক.. পণ্যবাহী গাড়ি। এই অবস্থায় খিদে পেলে কোথাও যাওয়ার উপায় নেই। কোথায় পাবেন পানীয় জলটুকু, জানেন না দীর্ঘপথ পেরিয়ে আসা এই লরি চালকরা। এরইমধ্যে, বৃহস্পতিবার, নতুন করে আন্দোলন শুরু হয়েছে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলিতে। এদিন সকাল ১০টা থেকে, ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়ক অবরোধ করে শুরু হয় বিক্ষোভ।