বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: হলদিয়া বন্দরে শ্রমিক অসন্তোষের জের। বন্ধ পণ্য খালাসের কাজ। গতকাল রাত থেকে হলদিয়া বন্দরের ১৩ নম্বর বার্থে দাঁড়িয়ে ম্যাঙ্গানিজ ভর্তি জাহাজ।
জানা গিয়েছে, বন্দরের দুই ঠিকাদার সংস্থার বিবাদকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। বন্দরের ঠিকা শ্রমিকদের পরিবর্তে বাইরের শ্রমিকদের দিয়ে পণ্য ওঠানো-নামানোর কাজ করানো হচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। মীমাংসা না হওয়ায় বন্ধ হয়ে যায় পণ্য খালাসের কাজ। হলদিয়া বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
এদিকে, কিছুদিন আগে হলদিয়া পেট্রোকেমে আইওসির রিফাইনারিতে বিধ্বংসী আগুন লাগে। হলদিয়ায় আইওসির রিফাইনারিতে ফের আগুন লাগে, আহত ৩। ডিলেড ক্র্যাকার ইউনিটে বিধ্বংসী আগুন লাগে বলে খবর, ৩ শ্রমিক আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। ডিসেম্বরের পর ফের হলদিয়া আইওসিতে বিধ্বংসী আগুন লেগেছিল।
আরও পড়ুন, কলকাতার দুয়ারে শীত, জেলায় জেলায় আরও কমবে তাপমাত্রা
এর আগেও ডিসেম্বরে আইওসির প্লান্টে আগুন লেগেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৩ জনের, অগ্নিদগ্ধ হয়েছিল ৪৪ জন। সূত্রের খবর, মক ড্রিলের পরে ফের কাজ শুরু হতেই ওয়েল্ডিং থেকে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। অগ্নিকাণ্ড নিয়ে এখনও হলদিয়া পেট্রোকেমের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি সেই সময়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই ৫ জনকে ভর্তি হয়েছে। সেই সময় তাঁদের 'সিভিয়র বার্ন' হয়েছিল।
গত বছরের শেষে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে মক ড্রিল চলছিল এখানে। পাশেই একটি ভবনে চলছিল ওয়েল্ডিংয়ের কাজ। সেখান থেকে আগুন ছিটকে এসে পড়ে তেলের ট্যাঙ্কারে। সঙ্গে সঙ্গে আগুন লেগে যায়। যদিও এবার ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই জানা গিয়েছে। তবে বারবার একি জায়গায় এই রকম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটায় স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।