কলকাতা : লালন শেখের (Lalan Seikh) অস্বাভাবিক মৃত্যুকাণ্ডে এফআইআরে নাম ডিআইজি সিবিআই-এর (CBI)। পুলিশের এফআইআরে (FIR) নাম সিবিআই আধিকারিক ও অফিসার মিলিয়ে সাত জনের। এফআইআরে নাম এসপি সিবিআই, গরুপাচার মামলার (Cow Smuggling Case) আইও সুশান্ত ভট্টাচার্যর। খুন, তোলাবাজি, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র-সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তদন্তের জন্য আজ ঘটনাস্থলে যাবে সিআইডি টিম। যাবেন ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা।


পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সিআইডি তদন্ত করুক। ওদের ফাঁসি হোক। এর পেছনে কার কার হাত আছে বেরোবে। কে কার কথায় ঘুষ খেয়েছে, না কার কথায় করেছে বেরোবে। ওদের শাস্তি চাই।


বগটুইকাণ্ডের ঘটনাপ্রবাহ-


সময় বহমান। আর সময় কারও সবসময় এক থাকে না। সময় পাল্টায়...পরিস্থিতি পাল্টায়। বগটুই অগ্নিকাণ্ডে জীবন্ত ১০ জনের অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্য়ুর
ঘটনায় মূল অভিযুক্ত, লালন শেখের সিবিআই হেফাজতে অস্বাভাবিক মৃত্য়ু হয়েছে। এখন লালন শেখের স্ত্রী দাবি করছেন, এই ঘটনার তদন্ত করুক রাজ্য় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা, CID। সেই CID, বগটুই হত্য়াকাণ্ডের পর যাদের তদন্তের ভার দিয়েছিল রাজ্য় সরকার। এর আগে, বগটুই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল সিআইডি। কিন্তু বগটুই হত্য়াকাণ্ডে যেহেতু পুলিশের বিরুদ্ধেই নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল, তাই পুলিশ কী করে সেই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করবে, এই প্রশ্ন তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছিল নিহতদের পরিবার। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয়েছিল মামলাও। অবশেষে ২৫ মার্চ, বগটুইকাণ্ডের তদন্তভার CBI-কে দেয় প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।


আর এই ঘটনাতেই প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। যাকে ধরতে পারেনি সিআইডি। কিন্তু, পেরেছিল সিবিআই। অবশেষে সেই তাঁরই এবার সিবিআই হেফাজতেই অস্বাভাবিকভাবে মৃত্য়ু হল। যার পর এখন, সিবিআইকে দুষছে গ্রামবাসীর একাংশ।


মঙ্গলবারই রামপুরহাটে পৌঁছে যান CID-র চার অফিসার। লালনের ময়নাতদন্তের আগে, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যান তাঁরা। সন্ধেয়, লালন শেখের রহস্য-মৃত্যুর তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি। সিআইডি-র ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার-সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক রামপুরহাটে পৌঁছন। বুধবার রামপুরহাট থানা থেকে তারা কেস ডায়েরি-সহ বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করবে।


সিআইডির আরও কয়েকজন গোয়েন্দা বুধবার রামপুরহাট আসবেন বলে সূত্রের খবর।