রঞ্জিত সাউ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা : আবহাওয়ার পূর্বাভাস তো ছিলই। উত্তরবঙ্গে আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শুনিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া দফতর ( weather Office ) । সম্প্রতি প্রবল বৃষ্টির জেরে শনিবার সিকিমের ( Sikkim ) সিংতামে ধসও নামে। এমন আরও ধস নামার আশঙ্কার কথাও শুনিয়ে রেখেছিলেন আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তারা। তাই পর্যটকরা ভয়কে সঙ্গী করেই ব্যাগ পিঠে তুলে নিচ্ছেন। এরই মধ্যে ধস নেমেছে নেপালে ( Nepal Disaster ) । আর তার জেরে নেপালে গিয়ে ধসে আটকে পড়লেন বহু বাঙালি পর্যটক।
ঝর্নার জল খেতে বাধ্য হচ্ছেন পর্যটকরা
সম্প্রতি মুক্তিনাথ দর্শনে ( Muktinath Temple Nepal ) যান রাজ্যের বিভিন্ন জেলার বাঙালি পর্যটকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, গত পাঁচদিন ধরে নেপালে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। প্রায় ১৫টি জায়গায় ধস নেমেছে। এর ফলে আটকে পড়েছে পর্যটক বোঝাই একাধিক গাড়ি। খাবার ও পানীয় জলের সমস্যাও প্রকট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। ঝর্নার জল খেতে বাধ্য হচ্ছেন পর্যটকরা। দিল্লির তরফে নেপাল সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে।
পুজোর ছুটিতে উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি, নেপালও বাঙালিদের প্রিয় ডেস্টিনেশন। তাই পার্বত্য প্রতিবেশী দেশে এ সময় বাঙালি ভিড় কম নয়। আর এমন সময় আবহাওয়াও ভাল থাকে পাহাড়ে। কিন্তু এবার মাটি করেছে বৃষ্টির তাণ্ডব। গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে কার্যত এলোমেলো নেপাল। এবার পর্যটকরা যাতে ভালয় ভালয় ফিরে আসেন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।
সম্প্রতি উত্তরকাশীতে পর্বতারোহনের প্রশিক্ষণ সেরে গিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হয় একটি দলের। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে তুষারঝড়ের কবলে পড়ে মৃত্যু হয় এরাজ্যের দুই শিক্ষার্থী পর্বতারোহীর। সোমবার মহেশতলার অমিত কুমার সাউয়ের দেহ পৌঁছয় বাড়িতে। কাল আরেক শিক্ষার্থী পর্বতারোহী সন্দীপ সরকারের দেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের হাতে।
বর্ষণ দিকে দিকে
অন্যদিকে, উত্তরপ্রদেশে একটানা প্রবল বৃষ্টি। বহু জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। লখনউ, আগরা, গোন্ডা ও বুলন্দশহর জেলায় আজও সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।উত্তরাখণ্ডেও গত কয়েকদিন ধরে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের কয়েকটি জেলাতেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে।