সঞ্চয়ন মিত্র, শৌভিক মজুমদার, সুমন ঘড়াই, কলকাতা: প্রয়াত বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ সমরাদিত্য ওরফে, বাচ্চু পাল। বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। পরিবার সূত্রে খবর, বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী। আজ ভোরে নিউ আলিপুরের বাড়িতে মৃত্যু হয় সমরাদিত্য পালের। তাঁর স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রুমা পাল। সমরাদিত্য পালের উল্লেখযোগ্য মামলার অন্যতম ২০১৩-র পঞ্চায়েত মামলা। নির্বাচন কমিশনের হয়ে লড়েছিলেন তিনি। বলা যায়, তাঁর দৌলতেই সেবার পঞ্চায়েত ভোটের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী এসেছিল। টাটা গোষ্ঠীর হয়েও একাধিক মামলায় সওয়াল করেন। আইনজীবী বাচ্চু পাল। তাঁর প্রয়াণে শোকজ্ঞাপন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্নাতকোত্তর ও এলএলবি পাশ করার পর সমরাদিত্য পাল লন্ডনের ইনার টেম্পেল থেকে ব্যারিস্টার ডিগ্রি পান। বিভিন্ন বই লিখেছিলেন সমরাদিত্য পাল।


এদিকে, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তৃণমূল নেতা ও হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করল ইডি। আগামীকাল সকাল ১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতার কাছ থেকে তিনি ও তাঁর আত্মীয়দের সম্পত্তির হিসেব ও ব্যাঙ্ক স্টেটমেন্ট সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয়েছে। এর আগে কুন্তল ঘোষকে গ্রেফতার ও তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানোর দিন শান্তনু  বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুগলির বাড়িতেও তল্লাশি চলে। ইডি সূত্রে দাবি, তৃণমূল নেতা তথা হুগলি জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের বাড়িতে চাকরিপ্রার্থীদের তালিকা মেলে। ইতিমধ্যে একবার শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি।


ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনুর বাড়িত থেকে ৩০০-র বেশি চাকরিপ্রার্থীর তালিকা পাওয়া যায়। ওই তালিকা তাঁর কাছে পৌঁছল কী করে, জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁদের সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত সব নথি আনতে হবে। কুন্তলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল শান্তনুর। শান্তনুই কুন্তলকে নির্দেশ দিতেন। কুন্তলের মতো শান্তনুও কি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলনে, জানতে চায় ইডি। ৩০০ চাকরিপ্রার্থীর তালিকা সামনে রেখে শান্তনুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। শান্তনু একটি রেস্তরাঁ চালান। সেই টাকা কোথা থাকে পেলেন, দেখা হচ্ছে তা-ও।





এ দিকে, দুর্নীতি মামলায় ইডি-র নজরে ৭৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। ইডি-র দাবি, যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের  অ্যাকাউন্ট থেকে ওই সমস্ত অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে। ২০১৭-র শেষ থেকে ২০১৯, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরাতে এই ৭৫টি অ্যাকাউন্টকে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করছে ইডি। এই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে কোথায় কোথায় টাকা গিয়েছে, তাও খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।