সুদীপ চক্রবর্তী, ইসলামপুর: তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে ইসলামপুরে (Islampur News) দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের অভিযোগ। অভিযোগ, সংঘর্ষের জেরে চলে গুলি-বোমার লড়াইও। সেই বোমার আঘাতে এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ সামনে এল। মৃত সিভিক ভলান্টিয়ার, স্থানীয় তৃণমূল নেতার ভাই বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় যিনি অভিযুক্ত, তিনি তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। পারদ চড়ছে রাজনীতিরও।  থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষা হয়েছে।


সভাপতি এবং ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়ার দাবি


এই ঘটনায়, জেলা সভাপতি এবং ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে ব্য়বস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আবদুল করিম চৌধুরী। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থানা ঘেরাও করার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল এবং ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।


বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার অন্তর্গত দক্ষিণ মাটিকুণ্ডা এলাকায়। নিহত সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাকিব আখতার বলে শনাক্ত কার গিয়েছে। খবর পেয়ে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ছুটে যান আবদুল করিম। সংবাদমাধ্যমে কানহাইয়ালাল এবং জাকিরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা না হলে, পদত্যাগ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন। তার পরই থানা ঘেরাও কর্মসূচির কথা জানান।


আরও পড়ুন: SSC Case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার ইডি-র নজরে ৭৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট


স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ  দিন ধরেই তৃণমূল নেতা শাহনওয়াজ আলম এবং মেহবুব আলমের মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলছিল। মেহবুব মাটিকুণ্ডার ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অভিযোগ, বুধবার রাতে শাহনওয়াজের বাড়িতে মেহবুব এবং তাঁর লোকজন মিলে হামলা চালান। দেদার গুলি এবং বোমাও ছোড়া হয় সেখানে। তাতে ধুন্ধুমার বেধে যায়। তটস্থ হয়ে ওঠেন আশেপাশের লোকজন।


বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে


সেই সময়, শাহনওয়াজের ভাই সাকিবের মৃত্যু হয় বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ইসলামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যে কারণে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতিরও।