সন্দীপ সরকার, কলকাতা: ন্যাশনাল মেডিক্যালে পুলিশের সঙ্গে লাঠিচার্জ সিভিক ভলান্টিয়ারের! ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে রোগীর পরিজনদের ওপর লাঠিচার্জ। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে বিক্ষোভ, পুলিশের লাঠিচার্জ। চিকিৎসক-নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে রোগীর পরিজনদের লাঠিপেটা করল সিভিক ভলান্টিয়ারও।
শেহনাজ বেগম নামে এক মহিলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন।রবিবার বেলা ১২টা নাগাদ বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে যান। সঙ্গে ছিল পরিবারের ৪ সদস্য। অভিযোগ এমারজেন্সিতে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। ২ টো নাগাদ পাঠানো হয় কার্ডিওলজি বিভাগে। পরীক্ষা নিরিক্ষার পরে হৃদযন্ত্রে কোনও সমস্যা মেলেনি, এরপর তাঁকে ফের পাঠানো হয় এমারজেন্সিতে সেখানে তাকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয়। তারপরেই হাতে প্রবল যন্ত্রণা হতে থাকে রোগীর। তা নিয়ে প্রশ্ন করেন রোগীর পরিজনেরা। সূত্রের খবর, কী ইনজেকশন দেওয়া হয়েছে, কেন ব্যথা হচ্ছে- তা জিজ্ঞেস করা হয় কর্তব্যরত নার্সকে। তখনই কথা কাটাকাটি শুরু হয় বলে অভিযোগ। সেই সময় কর্তব্যরত ডাক্তাররা পুলিশ ডাকে। পুলিশ এসেই ওই পরিবারকে ধাক্কা মারতে মারতে বের করে দেয় বলে অভিযোগ। তখনই উত্তেজনা চরমে ওঠে।
রোগীর পরিবার যখন বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তখন দেখা যায় এক পুলিশকর্মী লাঠিচার্জ করছে। সামনে থেকে পুলিশ লাঠি মারছে। পিছন থেকে এক সিভিক ভলান্টিয়ার লাঠিচার্জ করছে। এক ব্য়ক্তির জামা ছিড়ে যেতে দেখা গিয়েছে। যাদের উপর লাঠিচার্জ হয়েছে তাদের শরীরের একাধিক জায়গায় কালশিটে পড়ে গিয়েছে। সিভিক ভলান্টিয়ার কীভাবে হাতে লাঠি নিয়ে মোকাবিলা করতে পারে সেই প্রশ্নই উঠেছে। রোগীর পরিবারের দাবি, কোনও কথা না শুনে পুলিশ তাদের ধাক্কা দিয়ে বের করে। পাল্টা ধাক্কা দেওয়া হয়েছিল-কিন্তু কোনও হামলা বা মারধর করা হয়নি। গন্ডগোলের সময় এক মহিলাকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, 'আমি রোগী, আমার ছেলেকে মারবে? মারবে আমার ছেলেক? পুলিশের পাওয়ার দেখাচ্ছে?'
সরকারি হাসপাতালে ধুন্ধমার:
এই ঘটনায় কলকাতায় ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। ব্যাহত হয় পরিষেবা, আতঙ্কও ছড়ায়। রোগীর পরিজনদের উপর পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায়। একদিকে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে সরব রোগী আত্মীয়রা। অন্যদিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে রোগীর পরিজনদের বিরুদ্ধে। ন্যাশনার মেডিক্যাল কলেজের সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে রোগীর পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য কর্মীর সঙ্গে রোগীর পরিবারের কোনও অশান্ত হয়নি। পুলিশের সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে রোগীর পরিবারের।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।
আরও পড়ুন: হাত-পা বেঁধে মার! মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়! চোপড়ার JCB-কি উত্তরের 'শেখ শাহজাহান'?