কলকাতা: হাওড়ায় বন্ধ লঞ্চ পরিষেবা (Launch Service Disruption)। প্রতিবাদে সরব ব্রিগেডমুখী বাম কর্মী সমর্থকরা। বিভিন্ন জেলা থেকে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছায় কর্মী সমর্থকরা। লঞ্চঘাটে এসে দেখেন তা বন্ধ। তার জেরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
ক্ষোভপ্রকাশ কর্মী সমর্থকদের: লক্ষ্য '২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শ্রমজীবী ভোটব্যাঙ্ককে পাখির চোখ করে আজ শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর ও বস্তি ফেডারেশনের ডাকে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। শিয়ালদা, হাওড়া স্টেশন, পার্ক সার্কাস-সহ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্রিগেডে আসবে ৫টি মিছিল। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ইতিমধ্যেই বাম কর্মী-সমর্থকরা ব্রিগেডে আসতে শুরু করেছেন। আর হাওড়ায় গঙ্গা পেরিয়ে আসার আগে বাধা পেলেন বাম কর্মী সমর্থকরা। বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের দিনই হাওড়ায় বন্ধ লঞ্চ পরিষেবা। তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করলেন বাম কর্মী সমর্থকরা। ব্রিগেডের সমাবেশে যোগ দিতে বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রেনে করে হাওড়া স্টেশনে পৌঁছন কর্মী সমর্থকরা। লঞ্চ ঘাট বন্ধ থাকায় ক্ষোভ উগরে দেন তাঁরা। চক্রান্তের অভিযোগ তুলে তাঁরা জানান, হেঁটেই ব্রিগেড পৌঁছবেন। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ সমবায় সমিতির তরফে গতকালই নোটিস দিয়ে জানানো হয়, মেরামতির জন্য ভেসেল কম থাকায় রবিবার পরিষেবা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে।
উত্তরবঙ্গ থেকে অনেকে গতকাল রাতেই পৌঁছে গেছেন কলকাতায়। দুপুর ৩টে থেকে শুরু হবে বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। বক্তা হিসেবে থাকছেন, সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, CITU-র সাধারণ সম্পাদক অনাদি সাহু, খেতমজুর ইউনিয়নের রাজ্য সম্পাদক নিরাপদ সর্দার, হুগলি জেলার খেতমজুর ইউনিয়নের নেত্রী বন্যা টুডু ও কৃষক আন্দোলনের নেতা অমল হালদার।
এবার ব্রিগেডের মূল মঞ্চটি দৈর্ঘে ৪৮ ফুট ও চওড়ায় ৩২ ফুট। ত্রি-স্তরীয় মূল মঞ্চের উচ্চতা ১০ ফুট। এখানেই বক্তব্য রাখবেন নেতা-নেত্রীরা। ব্রিগেডের মাঠে ভিক্টোরিয়ার দিকে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ, মঞ্চের মুখ থাকছে দক্ষিণ দিকে। মূল মঞ্চের নীচে থাকছে সাংস্কৃতিক মঞ্চটি। মূল মঞ্চের সামনে থাকছে দ্বি-স্তরীয় ব্যারিকেড, তারপরই সাধারণ কর্মী সমর্থকদের বসার জায়গা। প্রবল তাপদাহের কথা মাথায় রেখে মাঠ জুড়ে থাকছে পর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থা। থাকছে দুটি মেডিক্যাল ক্যাম্প। এদিন সবচেয়ে বড় দুটি মিছিল শিয়ালদা ও হাওড়া স্টেশন থেকে ব্রিগেডমুখী হবে। দুপুর ৩টে তে শুরু করে সাড়ে় ৫টার মধ্যে সমাবেশের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে বামেরা। মূলত প্রচণ্ড তাপদাহের কথা মাথায় রেখে বেলার দিকে করা হয়েছে সমাবেশের সিদ্ধান্ত। শনিবার সন্ধে থেকেই জেলাগুলি থেকে আসতে শুরু করেন বাম কর্মী-সমর্থকরা। মৌলালির রামলীলা ময়দানের কাছে কর্মীদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। দূর দুরান্ত থেকে আসা কর্মীদের জন্য কলকাতা ও সংলগ্ন অঞ্চল থেকে দলের তরফে হাতে তৈরি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে।