সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari) রক্ষাকবচকে চ্যালেঞ্জ (challenge) করে প্রধান বিচারপতির (chief justice) ডিভিশন বেঞ্চের (division bench) দ্বারস্থ আইনজীবী আবু সোহেল। মামলাকারীর দাবি, নন্দকুমার থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তিনি অন্যতম পক্ষ ছিলেন। অথচ তাঁর বক্তব্য না শুনেই রায় দিয়েছে সিঙ্গল বেঞ্চ। বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব এফআইআরে (FIR) স্থগিতাদেশ (stay order) দিয়েছিলেন হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন এফআইআর দায়ের করা যাবে না বলেও নির্দেশে দেন বিচারপতি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ আবু সোহেল।
কী জানা গেল?
শুভেন্দুর বিরুদ্ধে পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে একটি এফআইআর হয়েছে। সেই মামলার তদন্ত এখনও চলছে। তার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পক্ষ আইনজীবী আবু সোহেল। তাঁর দাবি, তাঁর অনুপস্থিতিতেই, বক্তব্য না শুনে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই জন্যই হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন তিনি। গত ৮ ডিসেম্বর হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। সঙ্গে এও জানানো হয়, ভবিষ্যতে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করতে গেলে কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি নিতে হবে। সামগ্রিক ভাবে এই নির্দেশকেই চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করেছেন আবু সোহেল। প্রধান বিচারপতি মামলা দায়েরের অনুমতিও দিয়েছেন।
কী বলেছিল সিঙ্গল বেঞ্চ?
হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ জানায়, বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব FIR-এর ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হচ্ছে। মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে স্থগিতাদেশ, নির্দেশে আরও জানান বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। বিরোধী দলনেতার সব আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারে না আদালত, মন্তব্য করেছিলেন বিচারপতি। পুলিশ নিজে অথবা একদল মানুষের প্ররোচনায় একের পর এক অভিযোগ এনে জনগণের প্রতি তাঁর যে কর্তব্য তা স্তব্ধ করার চেষ্টা করছে বলেও মন্তব্য করেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। প্রসঙ্গত, তৃণমূল ও বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা প্রতিপক্ষের গড়ে সভা করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ছিল কাঁথিতে অধিকারীদের বাড়ি শান্তিকুঞ্জের অদূরে। একই দিনে ডায়মন্ড হারবারে শুভেন্দু অধিকারীর সভার অনুমতি দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বলা হয়, ডায়মন্ড হারবারের লাইট হাউস মাঠে শুভেন্দুর সভা হবে। তবে আদালত নির্দেশ দিয়েছে, শব্দবিধি মেনে সভা করতে হবে, সাধারণ মানুষের অসুবিধা করা যাবে না। পুলিশ এবং বন্দর কর্তৃপক্ষও তার আগে অনুমতি দিয়েছে বলে আদালতে জানান মামলাকারীর আইনজীবী। এর আগে সভার অনুমতি না মেলায় আদালতের দ্বারস্থ হয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন:'তৃণমূলের কেউ ক্ষতি করতে পারবে না' লক আপে ঢোকার আগে বার্তা পার্থর