সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে (Justice Rajasekhar Mantha Courtroom) ফের গরহাজির সরকারি আইনজীবী (Public Prosecutors Do Not Show Up)। কলকাতা পুলিশের ডিসির হাজিরা-মামলায় এজলাসে এলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল (Advocate General Of West Bengal)। 'যে ভাবে সরকারি আইনজীবীরা হাজিরা এড়াচ্ছেন, আদালতের কাছে এটা চিন্তার। এজন্য পুলিশের ক্ষতি হচ্ছে, এটা প্রশাসনের ক্ষতিয পুলিশ অফিসাররা আইনজীবীর অভাবেও এখানে দাঁড়িয়ে নিজেদের বক্তব্য বলছেন। এভাবে চললে প্রশাসনের ক্ষতি', মন্তব্য বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। সরকারি আইনজীবীদের মামলায় অংশ নিতে আবেদন অ্যাডভোকেট জেনারেলের।
বার্তা এজি-রও...
'মামলায় অংশ নিন, আমার সমর্থন আছে। প্যানেল থেকে নাম বাদ গেলে কিছু করতে পারব না। আমি নিজেও মামলায় অংশ নিয়েছি', সরকারি আইনজীবীদের বার্তা রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেলের। প্রসঙ্গত, বিচারপতি মান্থার এজলাসে অশান্তি গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই চলছে।
প্রেক্ষাপট...
হালে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বিরুদ্ধে, তাঁর বাড়ির চারপাশে প্রচুর পোস্টার সাঁটানো ঘিরে হইচই পড়ে গিয়েছিল। দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্কে, বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার বাড়ির চারদিকে এই সমস্ত পোস্টার দেখা যায়। পোস্টার পড়ে হাইকোর্ট চত্বরেও। কারা পোস্টার দিয়েছে, খোঁজ শুরু করে পুলিশ। অন্য দিকে, সে দিনই কলকাতা হাইকোর্টের ওই বিচারপতির এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখান আইনজীবীদের একাংশ। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা, বিশ্বের কোথাও এমন হয় না। স্বরাষ্ট্রসচিব-সিপিকে কড়া বার্তা দেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। আসে যে কোনও মূল্যে বিচারব্যবস্থাকে সুরক্ষিত করার নির্দেশও। এরইমধ্যে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য় করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় যা নিয়ে আক্রমণ ছুড়ে দিতে দেরি করেনি বিরোধীরা। গোটা বিষয়টি নিয়ে সরব হন হাইকোর্টের আর এক বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ও। বলেন, 'বাংলায় বিচারব্যবস্থাকে সন্ত্রস্ত করার চেষ্টা চলছে। বিচারকদের সন্ত্রস্ত করে নিজেদের পথে আনার চেষ্টা চলছে', বিস্ফোরক প্রতিক্রিয়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। তাঁর মতে, 'আমি হাইকোর্টে ২৩ বছর আইনজীবী হিসেবে ছিলাম, ৫ বছর ধরে বিচারপতি। এরকম হাইকোর্টে আগে দেখিনি, এত সাহস কোন দুর্বৃত্তদের, তা খুঁজে বের করতে হবে। বিচারব্যবস্থাকে এভাবে সন্ত্রস্ত করা যাবে না।' বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'শুনেছি শাসকদল বলেছে, তারা এরকম কিছু করেনি। কিন্তু কারা করেছে, তাদের আমরা চিনি, কী উদ্দেশ্যে, তা তদন্ত সাপেক্ষ।'
আরও পড়ুন:১১ বছর পর কার্টুনকাণ্ডে অবশেষে অব্যাহতি অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্রর