Suvendu Adhikari: 'মর্নিং ওয়াকে গিয়ে যা খুশি বলি না', নাম না করে কি দিলীপ ঘোষকেই আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর?

Hazra Meeting:'মর্নিং ওয়াকে গিয়ে যা খুশি বলিনা। যা বলি ভেবেচিন্তেই বলি। করে দেখাই', হাজরার সভা থেকে এবার কি নাম না করে দিলীপ ঘোষকেই কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী?

Continues below advertisement

কলকাতা: 'মর্নিং ওয়াকে (morning walk) গিয়ে যা খুশি বলিনা। যা বলি ভেবেচিন্তেই বলি। করে দেখাই', হাজরার (hazra) সভা (meeting)  থেকে এবার কি নাম না করে দিলীপ ঘোষকেই (dilip ghosh) কটাক্ষ (banter) করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari)? নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়কের কথায় সে রকমই সুর পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। 

Continues below advertisement

কী বললেন শুভেন্দু?
এদিন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির একেবারে কাছে, হাজরা মোড়ে সভা করেন শুভেন্দু। সেখানেই বলেন, 'আমি শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা। গিমিকে বিশ্বাস করি না।' মনে করান লক্ষ্মণ শেঠকে হারানোর কথাও। শুভেন্দুর কথায়, 'সিপিএমের সূর্য যখন মধ্যগগনে, তখন আমি লক্ষ্মণ শেঠকে হারিয়েছি। তৃণমূলের সূর্য যখন মধ্যগগনে, তখন আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়েছি। আপনার শুনে রাখুন, পশ্চিমবঙ্গের ধেড়ে ইদুর, বড় ডাকাত জেলের ভিতর যাবেই।' বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ১২ ডিসেম্বরের যে ডেডলাইন তিনি দিয়েছিলেন, সেটা ১৩ জানুয়ারি হতে পারে, ১৪ ফেব্রুয়ারি হবে না। ডিসেম্বর ডেডলাইন নিয়েও নাম না করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আঁচ?
বঙ্গ বিজেপিতে অন্তর্কলহের আঁচ মোটেও নতুন নয়। গত অক্টোবরেই দলীয় সাংসদ সৌমিত্র খাঁ রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের উদ্দেশে তোপ দেগেছিলেন। বলেন, 'বাংলাতে কয়েকটা কয়েকটা আযোগ্যকে বসে, বাংলা জয় করা খুব কঠিন। শুভেন্দু দা, দিলীপ দা লড়ছেন কিন্তু বাকি সব অযোগ্যের ভিড়ে, অযোগ্য নেতৃত্বের বলে চলছে। রাজ্য সভাপতি ভাল ছেলে, ভাল প্রফেসর কিন্তু কোনও মতেই বারবার কমিটি, বারবার লোক বদল করে দেওয়াটা আমার মনে হয় ওঁর অবগত হয়নি। উনি শিক্ষানবিশ আছেন, উনি যখন শিক্ষা পাবেন তখন নিশ্চিতভাবে হয়তো ভাল কিছু হবে।" ছেড়ে দেননি সুকান্তও। পাল্টা জবাব ছিল, "কিছু লোকের অভ্যাস হয়ে গিয়েছে, কিছু না করেই কথা বলা। সেই সমস্ত নেতারা যাঁরা কাজের সময় থাকে না, যাঁদের কোনও দায়িত্ব দিলে পাওয়া যায় না, তাঁরা মিডিয়ার সামনে বড় বড় কথা বলে গলা ফাটান।" দিলীপ-শুভেন্দুর মধ্যেও সেই চাপানউতোরের আঁচ ফের প্রকাশ্য়ে এল হাজরার সভায়, মনে করছেন অনেকে। 

আক্রমণ অভিষেককে...
তবে এদিনের সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আক্রমণের কেন্দ্রে ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা। বলেন, "আমি আজ হাজরায়, আপনি কোথায় পালিয়েছেন? কাঁথিতে তো আমার বাড়ির কাছে পকেটে হাত দিয়ে অনেক কথা বলেছিলেন। বিজেপির সভার পর কাল এখানে তৃণমূল সভা করবে, ইয়ে ডর আচ্ছা লাগা।"  আরও বলেন, 'পুলিশ আছে বলে আপনারা আছেন। সংসদে নতুন বিল এলে আইপিএসদের নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্রের সরকার। ওয়ান নেশন ওয়ান পুলিশ যখন হবে, তখন কোথায় যাবেন?' হাজরার সভা থেকে ফের পুলিশকে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর। রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, 'পশ্চিমবঙ্গই একমাত্র রাজ্য, যেখানে পুলিশ পার্টির ক্যাডার। বর্ধমানে তৃণমূলের মঞ্চে পুলিশকে দেখা যাচ্ছে। এই পুলিশ দিয়ে কীভাবে পঞ্চায়েত ভোট হবে?'     

আরও পড়ুন:পাখির চোখ, বিধানসভা ভোট, অভিষেককে সঙ্গে নিয়ে আজ মেঘ-রাজ্যে মমতা

Continues below advertisement
Sponsored Links by Taboola