কলকাতা: 'মাননীয় জগদীপ ধনকড় (Ex Governor Jagdeep Dhankar) আইন-সংবিধানকে ভঙ্গ করার জন্য রাজ্য সরকারকে (state government) চেপে ধরেছিলেন। তাতে মুখ্যমন্ত্রীর অনৈতিক কাজে সমস্যা হয়েছিল', মন্তব্য় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। সঙ্গে আরও দাবি, 'এবার তাই তিনি প্রথম দিন থেকে রাজ্যপালকে ম্যানেজের জন্য মরিয়া।' তবে বিরোধী দলনেতার মতে, 'রাজ্যপালের উপর বিশ্বাস আছে যে, তিনি বেআইনি কাজে মুখ্যমন্ত্রীকে সঙ্গ দেবেন না। যদি সেটা হয়, তাহলে সংবিধানের রীতি মেনে যেখানে অভিযোগ জানানোর জানাব।'


পাল্টা কী বলল তৃণমূল?
শুভেন্দুর আক্রমণের মুখে সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদলও। তৃণমূলের রাজ্যসভা সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, 'তা হলে কি শুভেন্দুবাবু মানলেন যে, আগের রাজ্যপালকে উনি ম্যানেজ করেছেন?' তাঁর কথায়, 'বিজেপি বাংলার এক প্রাক্তন রাজ্যপালকে দলের মুখপাত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। রাজভবনটাকে বিজেপি দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করত। এঁকে তা করতে পারছে না বলে ছটফট করছেন।' সরব হন ফিরহাদ হাকিমও। তাঁর কটাক্ষ, 'যে রাজ্যপাল পাশে দাঁড়াবেন তিনি ভাল, যিনি দাঁড়াবেন না, তিনি খারাপ!' ফিরহাদের কথায়, 'রাজ্যপাল ভাল বা খারাপ, কোনওটাই নন। 'রাজ্যপালের কাজ সরকারকে উপযুক্ত পরামর্শ দিয়ে সরকার পরিচালনায় সাহায্য করা। রাজ্যপালের পলিটিক্যাল ভিশন থাকা উচিত নয়। বর্তমান রাজ্যপালের কোনও পলিটিক্যাল কমিটমেন্ট নেই।' 


প্রেক্ষাপট...
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল থাকাকালীন কখনও রাজনৈতিক হিংসা, কখনও আবার ভোট পরবর্তী অশান্তির অভিযোগে একাধিক বার রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে বেঁধেছিল জগদীপ ধনকড়ের। উপাচার্য নিয়োগ ঘিরেও তুঙ্গে ওঠে তরজা। গত বছর জানুয়ারি মাসে ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্যপালের সিদ্ধান্ত খারিজ করে রাজ্য সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন তপন মণ্ডলকে উপাচার্য মনোনীত করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই সিদ্ধান্ত খারিজ করে সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উপাচার্যের দায়িত্ব দেয় সরকার। রাজ্য সরকার সূত্রে দাবি করা হয়, রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্য পদে থাকতে চান না তপন মণ্ডল। আচার্যকে আক্রমণ করে ট্যুইট করেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। লেখেন, “মনোনীত আচার্যকে এখনও বলব তৃতীয়বারের নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে  সহযোগিতা করুন। যুদ্ধংদেহী মনোভাব শিক্ষা দফতরের উপর চাপাবেন না।'' হাওড়া পুরসভার সংশোধনী বিল নিয়ে টানাপড়েন চলে। 
এখন রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল। কিন্তু পঞ্চায়েত ভোটের আগে অতীতের রাজ্য-রাজ্যপাল সমীকরণ মনে করিয়ে দিয়ে কী বার্তা দিতে চাইলেন বিরোধী দলনেতা? প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে। 


আরও পড়ুন:জলে গেল ব্রেসওয়েলের স্মরণীয় সেঞ্চুরি ১২ রান জয় পেল ভারত