হিন্দোল দে, কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ার পর পথে নামল বামেরা (Left Agitation)। কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় আজ রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন ((Left Agitation In Front Of Ration Shop)। জোড়াসাঁকোতে সিপিএমের এরিয়া কমিটির উদ্যোগে রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ।  একই ইস্যুতে কালীঘাটের পটুয়া পাড়ায় রেশন দোকানের সামনেও সিপিএমের বিক্ষোভ। ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছে সিপিএম। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অবশ্য অভিযোগ, বাম আমলে ফরওয়ার্ড ব্লকের উদ্যোগেই বাকিবুর রহমানের উত্থান হয়েছিল।


কী ছবি?
কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় রেশন দোকানের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়। যেমন ৪২ নম্বর কালিঘাট রোডের রেশন দোকানের পটুয়াপাড়ার সামনে বিক্ষোভ দেখান সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটির সদস্যরা। তাঁদের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় যে ভাবে ইডি গ্রেফতার করেছে, সে ভাবেই বাকি অভিযুক্তদেরও গ্রেফতার করতে হবে। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিরও ব্যবস্থা করতে হবে, দাবি তাঁদের। পাশাপাশি, রেশন-পরিষেবা যাতে জারি থাকে, সে কথাও দাবি করেছেন সিপিএম নেতারা। অন্য দিকে, রেশন দুর্নীতির অভিযোগে দীপাবলির পর আন্দোলনে নামছে বিজেপিও। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানালেন, এই মর্মে জেলা খাদ্য আধিকারিকের দফতরে ডেপুটেশন দেওয়া হবে। তবে এদিন যে ভাবে সিপিএম বিক্ষোভ দেখিয়েছে সেটিকেও আক্রমণ করেন সুকান্ত। তাঁর মতে, রেশন দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত হিসেবে ধৃত ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমানের বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল বাম আমলে। নির্দিষ্ট করে বললে, ফরওয়ার্ড ব্লকের উদ্যোগেই ওই ব্যবসায়ীর উত্থান হয়, মনে করেন সুকান্ত। 


দুর্নীতি প্রসঙ্গে...
এদিন জানা যায়, রেশন দুর্নীতির তদন্তে আরও কয়েকটি ভুয়ো কোম্পানির হদিস পাওয়া গিয়েছে। ইডি সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের আরও ৫টি ভুয়ো কোম্পানি খোলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ১০টি ভুয়ো কোম্পানির হদিশ পায় ইডি। সূত্রের দাবি, প্রতিটি কোম্পানিই খোলা হয়েছিল রেশন-কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করার জন্য। পাশাপাশি, দুর্নীতির তদন্তে ইডির স্ক্যানারে ২৫টি মোবাইল ফোন রয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বাকিবুর রহমান-সহ ঘনিষ্ঠদের মোবাইল ফোনও ইডির রেডারে, বলছে সূত্রের খবর। জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রত্যেকের সামনেই খোলা হবে ফোনগুলি, খতিয়ে দেখা হবে চ্যাট ও কললিস্ট, এমনও শোনা যাচ্ছে। রেশন-দুর্নীতির তদন্তে বড় ভূমিকা নিতে চলেছে এই মোবাইল ফোনগুলি, ধারণা ইডির।


আরও পড়ুন:আজ কলকাতায় অমৃত কলস যাত্রা বিজেপির, কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু মিছিল