কোচি: কেরলের কোচিতে ধর্মীয় সভা চলাকালীন ধাকরাবাহিক বিস্ফোরণ। রবিবার সকালে প্রার্থনা চলাকালীন পর পর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে কনভেনশন সেন্টারের ভিতরে (Kerala Kalamassery Blast)। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানালেন তিরুঅনন্তপুরমের কংগ্রেস সাংসদ শশী তারুর (Shashi Tharoor)। কেরলকে হত্যা এবং ধ্বংসাত্মক মানসিকতার শিকার হতে দেখা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করলেন তিনি। (Shashi Tharoor on Kerala Blast)


সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তারুর লেখেন, ‘কেরলে ধর্মীয় জমায়েতে বোমা হামলার খবর আমি স্তম্ভিত এবং হতাশ। নির্দ্বিধায় এর তীব্র নিন্দা করছি আমি এবং পুলিশি পদক্ষেপ দাবি করছি। কিন্তু তাও যথেষ্ট নয়। নিজের রাজ্যকে হত্যা এবং ধ্বংসাত্মক মানসিকতার শিকার হতে দেখা অত্যন্ত দুর্ভাগ্য়জনক। সব ধর্মীয় নেতাদের অনুরোধ, একজোটে এই বর্বরতার নিন্দা করুন এবং অনুগামীদের শেখান, হিংসা দ্বারা একমাত্র হিংসা ছাড়া আর কিছু অর্জন করা সম্ভব নয়’।


রবিবার সকালে কোচিতে একটি কনভেনশন সেন্টারে খ্রিস্টানদের প্রার্থনাসভা চলছিল। ২৭ অক্টোবর থেকে তিনদিনের ওই প্রার্থনাসভায় প্রার্থনা শুরু হয়। রবিবার ছিল শেষ দিন। আর এদিন প্রার্থনা চলাকালীনই পর পর তিনটি বিস্ফোরণ ঘটে। ওই কনভেনশন সেন্টারে প্রায় ২০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বিস্ফোরণের শব্দে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এক জন মহিলার মৃত্যু হয়। আহত হন বেশ কয়েক জন। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, প্রার্থনা চলাকালীন হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। তার পর আরও দুই বিস্ফোরণের শব্দ কানে আসে। কেরলের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীদের অবিলম্বে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে আহতের সংখ্যা বাড়লে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। 



আরও পড়ুন: Kerala Blast: বিস্ফোরণস্থল থেকে উদ্ধার IED ডিভাইস, জানালেন কেরলের DGP


কী থেকে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, নেপথ্যে কার হাত রয়েছে, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে ইজরায়েল-প্যালেস্তাইন যুদ্ধের আঁচ সম্প্রতি এসে পড়ে দক্ষিণের এই রাজ্যটিতেও। হামাস নেতা খালেদ মাশাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে যে বক্তৃতা করেন, তা কেরলে প্যালেস্তাইনপন্থী মিছিলে দেখানো হয়। সেই নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছিল। তার পরই এই বিস্ফোরণ। তবে দুইয়ের মধ্যে কোনও সংযোগ রয়েছে কিনা, এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি নিশ্চিত ভাবে।


কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ের সঙ্গে ইতিমধ্যেই কথা হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA) এবং ন্যাশনাল সিকিওরিটি গার্ড (NSG)-কে ঘটনাস্থলে পৌঁছতে নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তড়িঘড়ি তদন্ত শুরু করা যায়।