রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: চেষ্টা চলছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। কিন্তু কিছুতেই নাগালের মধ্যে পাওয়া যাচ্ছিল না তাকে। অবশেষে ধরা দিল সে। নাগরাকাটা খাসবস্তির কাবুলডাঙ্গার হিংস্র চিতাবাঘ (leopard)। শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ল।
চিতাবাঘের আতঙ্কে নাজেহাল
অবশেষে ধরা দিল জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা খাসবস্তির কাবুলডাঙ্গার সেই হিংস্র চিতাবাঘ। বেশ কয়েকদিন ধরেই এলাকাবাসীর ত্রাস হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই চিতাবাঘ। তার আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছিল বাগান শ্রমিকদের (labourer)।
বুধবার সেই চিতাবাঘকে কাবু করতে গিয়ে আহত হন দুই বনকর্মী (forest officer)। অথচ সারাদিন চেষ্টা করেও ধরা যায়নি চিতাটিকে। এরপর বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আজ সকালেও এক গ্রামবাসী চিতাবাঘের হামলায় আহত হন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এরপরই সকাল থেকে ফের বনকর্মীরা আসরে নামে। একের পর এক চেষ্টা চলতে থাকে চিতাবাঘটিকে কাবু করার জন্য।
অবশেষে কাবু হল চিতাবাঘ
অবশেষে বিন্নাগুড়ি বন্য প্রাণী স্কোয়াড এবং খুনিয়া স্কোয়াডের যৌথ অভিযানে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করা গেল চিতাবাঘটিকে। প্রাণীটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লাটাগুড়ি প্রকৃতি বিক্ষণ কেন্দ্রে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিতাবাঘটিকে জঙ্গলে ছাড়া হবে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। বাঘ ধরা পড়তে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন এলাকাবাসী।
দিন কয়েক আগে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপকে কেন্দ্র করে ধূপগুড়ির (Dhupguri) বারঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ ডাঙ্গাপাড়া গ্রাম এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য় তৈরি হয়। বাঘ নাকি অন্য কোনও জন্তুর পায়ের ছাপ, তা বোঝা যায়নি। তবে, গ্রামবাসীদের সতর্ক থাকতে বলার পাশাপাশি তাঁদের পটকা দেওয়া হয় বন দফতরের পক্ষ থেকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে গ্রামবাসীরা ডোরাকাটা কোনও একটি প্রাণীকে দেখতে পান। এরপরই গ্রামে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে দ্রুত খবর দেওয়া হয় ধূপগুড়ি থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ধূপগুড়ি থানার পুলিশকর্মীরা। এরপরই খবর যায় বিন্নাগুড়ি বন্যপ্রাণী স্কোয়াডের বনকর্মীদের কাছে। খবর পেয়ে তাঁরা গুপুরে ঘটনাস্থলে যান। সঙ্গে গোটা এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শক করাকালীনই তাঁরা বিভিন্ন জায়গায় অজানা কোনও জন্তুর পায়ের ছাপ দেখতে পান।