বিটন চক্রবর্তী, বিশ্বজিৎ দাস ও কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: তৃণমূল কাউন্সিলরের (TMC Councilor) সঙ্গে দিল্লি হিংসার (Delhi Violence) মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আনসার। হলদিয়া (Haldia) পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের কাঁধে হাত দিয়ে দিল্লিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ডের সেই ছবি ভাইরাল (Viral) হয়েছ।  দিল্লি হিংসার মূল চক্রী আনসারকে চেনার কথা স্বীকার তৃণমূল কাউন্সিলরের। 


ছবি ঘিরে বিতর্ক



দিল্লি-হিংসায় ধৃত, মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আনসারের সঙ্গে হলদিয়ার তৃণমূল কাউন্সিলরের ছবি ঘিরে বিতর্ক। বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ট্যুইট করে বলেছেন, তৃণমূল হল সেই দল, যারা দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেয়। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। যদিও, বিজেপির আক্রমণে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল।


আরও পড়ুন, শিক্ষক বদলিতে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ, ‘বদলির পিছনে কাজ করছে কি কোনও বৃহত্তর চক্র?’


এদিকে, জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার ঘটনায় দিল্লিতে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে তৃণমূল। আর তার আগে, দিল্লি হিংসার প্রধান অভিযুক্ত মহম্মদ আনসারের সঙ্গে হলদিয়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলরের এই ছবিকে হাতিয়ার করেই আক্রমণ শানাতে শুরু করল বিজেপি। ছবিতে দিল্লি হিংসায় মূল অভিযুক্ত মহম্মদ আনসারের সঙ্গে যাঁকে দেখা যাচ্ছে, তাঁর নাম আজিজুল রহমান। হলদিয়া পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তিনি। এই ছবির সত্যতা স্বীকার করে নিয়ে তিনি বলেছেন, "চিনি। এখানে আড্ডা মারত। ছবি থাকলে কী হয়েছে? শুভেন্দুর সঙ্গে সাদ্দামের ছবি আছে। মোদির সঙ্গে ছবি আছে।" 


রাজনৈতিক বিতর্ক


বুধবারই দিল্লি হিংসায় ধৃত আনসারের প্রশংসা শোনা গেছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের গলায়। এই প্রেক্ষাপটে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ট্যুইট করে বলেছেন, জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার চক্রী আনসারের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক এবং যোগ রয়েছে। তৃণমূল হল সেই দল, যারা দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দেয়। অন্যদিকে, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "ও ছুটিতে এসেছিল। ছবি তুলেছে। ও কি করেছে দিল্লি পুলিশের দেখার কথা। দেখা যাচ্ছে ছবিতে, এনিয়ে আচমকা মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সামাজিক অনুষ্ঠান কিনা দেখতে হবে। আমার সঙ্গেও তো অনেকে ছবি তোলে।" 


দিল্লিকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মহম্মদ আনসারের ভুয়ো ফেসবুক প্রোফাইলে দিল্লির স্থানীয় বিজেপি ও আম আদমি পার্টির নেতাদের সঙ্গে ছবি ঘিরেও ইতিমধ্যেই বিজেপি ও কেজরিওয়ালের মধ্যে বাগযুদ্ধ চলছে। এদিকে দিল্লি হিংসার তদন্তে বৃহস্পতিবারও পূর্ব মেদিনীপুরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরে দিল্লি পুলিশের দল। প্রথমে তারা যায় মহিষাদলের কাঞ্চনপুরে, ধৃত আসলামের বাড়িতে। এরপর নন্দকুমারে ধৃত আরেকজনের বাড়িতে যান দিল্লি পুলিশের অফিসাররা।