শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: নির্বাচন (Election) এলেই অশান্তির ছায়া বারবার ফিরে আসে। গত লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) হোক, কিংবা যেকোনও নির্বাচনের আগেই বোমা উদ্ধার (Bomb Rescue) থেকে হামলা, খুনের ঘটনা বারবার ফিরে আসে। রাজ্যের ক্ষেত্রে বলতে গেলে একুশের ভোট পরবর্তী হিংসার মামলা (Post Poll Violence) এখনও জারি রয়েছে। তবে যাতে অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে নতুন করে না ঘটে, সেই জন্য প্রতিমুহূর্তেই কড়া নজর রাখছে প্রশাসন। আর লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে এবার খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বৈঠকে বসেছে আজ কমিশনের ফুল বেঞ্চ। যদিও এতকিছুর মধ্যেও অশান্তির (Violence) ঘটনা ফের প্রকাশ্যে এসেছে। বুড়িরহাট দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার বাড়িতে বোমাবাজি অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে।


ভোটের আগে তৃণমূলের সদস্যার বাড়িতে 'বোমাবাজি'


এই বিষয়ে তৃণমূলের ১২ নম্বর আসনের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা, কৃষ্ণা কাবেরী বর্মনের স্বামীর অভিযোগ, গতকাল আড়াইটে নাগাদ বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ হয়। বোমা বিস্ফোরণের এতটাই তীব্রতা ছিল যে, লোহার গ্রিল বেঁকে গিয়েছে। জানালা ভেঙেছে। সঙ্গে পাকা দেওয়ালের বেশ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের অভিযোগ, ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির দিনহাটা দুই নম্বর মন্ডল সভাপতি প্রদীপ কুমার বর্মণ। তিনি বলেন, 'বোমাবাজি, সাধারণ মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙ্গা এসব তৃণমূলের সংস্কৃতি। আমি যতটুকু শুনেছি যে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যার বাড়িতে বোমাবাজি হয়। এই ঘটনার সঙ্গে বিজেপির কোনও যোগসূত্র নেই।'


আরও পড়ুন, ভোটের আগে তমলুকে মমতা, নাম না করে শুভেন্দুকে জোর নিশানা, বললেন..


 তৃণমূল প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি


সম্প্রতি কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূল প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছিল বিজেপির বিরুদ্ধে। বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল সাহেবগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অভিজিৎ বর্মনের গাড়ি। প্রতিবাদে সকাল ১০টা থেকে সাহেবগঞ্জে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিল তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে শাসকদলের দিকেই আঙুল তুলেছিল বিজেপি।তাদের দাবি, নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে তাদের ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে তৃণমূল। ফের দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীতে বোমা উদ্ধার হয়েছিল। ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরাখালিতে রাস্তার পাশে তাজা বোমা পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। পরে বাসন্তী থানার পুলিশ এসে দুটি বোমা উদ্ধার করে। জনবহুল এলাকায় কে বা কারা বোমা রেখে গেল, তা নিয়ে তদন্তে নামে বাসন্তী থানার পুলিশ।