সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায়, সোমনাথ মিত্র, হুগলি : আগামী ২০ মে পঞ্চম দফায় হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ। প্রচারে একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছেন লকেট ও রচনা। তাঁদের বাগ্‍যুদ্ধে তুঙ্গে জেলার রাজনীতি। দুই দিদিরই লক্ষ্য নম্বর ওয়ান হওয়া। জনসংযোগে কেউ ধরছেন খুন্তি, তো কেউ সাধারণ মানুষের খাচ্ছেন পাত পেড়ে। শনিবাসরীয় সকালে হুগলির দুই প্রান্তে প্রচার সারলেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ও রচনা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। 

সিঙ্গুর জমি আন্দোলনের আঁতুড়ঘর বেড়াবেড়ি থেকে শনিবার প্রচার শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, 'আপনাদের পাশে থাকব , যদি আপনারা আমাকে ভালোবাসেন, রোজ রাতে টিভিতে দেখতে পাবেন, আর সকালে সামনে  দেখতে পাবেন।' সিঙ্গুরে প্রচারে জনতার দুয়ারে পৌঁছলেন জনপ্রিয় মুখ রচনা।  


প্রথমে বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েত এলাকার দক্ষিণ পাড়া এলাকা থেকে হুড খোলা গাড়িতে রোড শো করেন তৃণমূল প্রার্থী। এরপর বেড়াবেড়িতে সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে মন্ত্র বলে পুষ্পাঞ্জলি দেন অভিনেত্রী। সেই সঙ্গে প্রদীপ ও ধূপ জেলে আরতি করেন রচনা । এরপর বেড়াবেড়ি হরি মন্দিরে উপস্থিত হয়ে রাধা-কৃষ্ণ বিগ্ৰহে পুজো দেন । তারপরে বাতাসা হরিলুট দেন তৃণমূল প্রার্থী। 


প্রচারের সময় কেউ প্রিয় তারকার সঙ্গে হাত মেলাতে এগিয়ে এলেন।  কেউ আবার তুলতে এলেন সেলফি। তৃণমূল সূত্রে খবর, সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে পুজো দিয়ে বেড়াবেড়ি পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্রচার সারেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। দুপুরে কর্মীদের সঙ্গে 'একতা ভোজ' কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। 


অন্যদিকে আবার বিজেপি প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় চন্দননগর বিধানসভার ঝাউবাগানে দেশপ্রেমিক ভগৎ সিংকে মাল্যদানের করে  চন্দননগরের ১২ নং ওয়ার্ডে প্রচার করেন। সাধারণ মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকায় এলাকায় হেঁটে  প্রচার সারেন। একসময় ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন লকেট। পরে হন ধ্রুপদী ঘরানার নৃত্যশিল্পী। সেখান অভিনয় জগত হয়ে রাজনীতিতে। বর্তমানে তিনি হুগলির বিজেপি সাংসদ। তাঁকে ঘিরে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে গত ৫ বছরে এলাকায় দেখা যায় নি বলে। তারপরও এবার এই কেন্দ্রে তার উপরই ভরসা রেখেছে বিজেপি। প্রতিদ্বন্দ্বী 'দিদি নাম্বার ওয়ান'কে লক্ষ করে লকেট বলেছেন, ' সন্দেশখালির মহিলারা হচ্ছে দিদি নাম্বার ওয়ান। মানুষকে বিভ্রান্ত করতে এটা হয়েছে। সত্যিটাকে চাপা দেওয়ার জন্য চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে, মহিলাদের সবচেয়ে বেশি অত্যাচার হয়েছে, মহিলাদের ওপর সবচেয়ে বেশি আঘাত হয়েছে। এই লড়াই সেই লড়াই।' 


আরও পড়ুন :                  


Arjun Singh Exclusive : বিজেপি-তৃণমূল বাপের বাড়ি-শ্বশুরবাড়ি? অর্জুনের ফুল-বদলের রহস্য জানত বিজেপি? এক্সক্লুসিভ অর্জুন সিংহ