কলকাতা: মানিকতলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মী (BJP Worker)। গভীর রাতে বাড়ির বাইরে বেরোতেই পরপর ছুরির কোপ মারার অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় বিজেপি কর্মীকে এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 


আক্রান্ত বিজেপি কর্মী: সপ্তম দফায় কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে ভোট। আর তাঁর আগে মানিকতলায় আক্রান্ত হলেন বিজেপি কর্মী। গভীর রাতে বাড়ির বাইরে বেরোতেই হামলার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ৬-৭ জন দুষ্কৃতী মিলে তাঁর ওপর আচমকা হামলা করে বলে অভিযোগ। এমনকি, ছুরি দিয়ে শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করার পর জলে ফেলে দেওয়া হয় তাঁকে। ভেঙে যায় গুরুতর জখম বিজেপি কর্মীর পা। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে। 


কংগ্রেস নেতাকে খুনের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে: এদিকে নারকেলডাঙায় কংগ্রেস নেতাকে ধাওয়া করে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ৭ মে, তৃতীয় দফায় লোকসভা নির্বাচন। তার আগে,খাস কলকাতায় হাড়হিম করা হত্যাকাণ্ড ঘটে। গতকাল সাতসকালে কংগ্রেস নেতাকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে।  নির্বাচন কমিশনে অভিযোগও দায়ের করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের দাবি, মৃত বছর ৩৬-এর ইমামউদ্দিন আনসারি কলকাতার ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে দলের ব্লক সভাপতি ছিলেন।


বৃহস্পতিবার ঘড়িতে তখন ভোর সাড়ে ৫টা। কংগ্রেসের অভিযোগ, ইমামউদ্দিনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। এরপর, চপার দিয়ে এলোপাথারি কুপিয়ে খুন করা হয় তাঁকে। কংগ্রেসের অভিযোগ, লাগাতার তৃণমূলের তরফে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল ইমামউদ্দিনকে। বুধবারও কংগ্রেস নেতার স্ত্রী থানায় হুমকির কথা জানিয়েওছিলেন। তারপরই বৃহস্পতিবার কাকভোরে ঘটে এই ঘটনা। যদিও, একেবারেই ভিন্ন দাবি করা হয়েছে পুলিশের তরফে। পুলিশ সূত্রে খবর, ইমামউদ্দিনের সঙ্গে কয়েকজনের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিবাদ চলছিল। ইমামউদ্দিনের সঙ্গে মহম্মদ আশরাফ ওরফে চুন্নুর ১৩ এপ্রিল একটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিলেন ইমামউদ্দিন। বৃহস্পতিবার এলাকায় ঢুকতেই তাঁকে কুপিয়ে খুন করে মহম্মদ আশরাফ ওরফে চুন্নুর দলবল। বদলা নিতেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এই ঘটনায় রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন।                


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে। 


আরও পড়ুন: East Midnapore: রোগী মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসদের মারধর, ধুন্ধুমার তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজে