কলকাতা: ৫ অক্টোবর মাল নদীতে বিসর্জনের সময় হড়পা বানে (Flash Flood) ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ১৪ জনের মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। জানাল নবান্ন (Nabanna)। মাল নদীতে হড়পা বানে ৮ মৃত্যুতে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বাইরে বৃষ্টি অথবা কোনও মেঘ ফাটা বৃষ্টির কারণে জলোচ্ছ্বাস। প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসনকে কালিমালিপ্তের চেষ্টা। পাকাপোক্তভাবে বিসর্জনের বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। মাল প্রশাসন, পুলিশ ও মাল পুরসভার প্রচেষ্টায় কমেছে জীবনহানি। নিরাপদ জায়গায় সরানো হয়েছিল ৪৫০ জনকে।
মাল নদীতে হড়পা বানে ৮ মৃত্যুতে কী জানাল নবান্ন? হড়পা বানে ভেসে যাচ্ছে মানুষ। খড়-কুটোর মতো হাতের কাছে যা পাচ্ছেন, তাই ধরে বাঁচার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। কেউ শেষ অবধি পেরেছেন, কেউ তলিয়ে গেছেন অন্ধকার কালো জলে। স্থানীয় সূত্রে দাবি, বুধবার মালবাজারে যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটে, সেখানে নদীর গতিপথের একদিকে বোল্ডার ফেলে অস্থায়ী বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। যাতে যে পাড়ে বিসর্জন হচ্ছিল, সে দিকে জলস্তর বেশি থাকে। প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতদের পরিবারের একাংশের অভিযোগ, হড়পা বান এসে বোল্ডারে ধাক্কা খাওয়ায় পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় এবার নবান্ন জানাল, রাজ্যের বাইরে বৃষ্টি অথবা কোনও মেঘ ফাটা বৃষ্টির কারণে জলোচ্ছ্বাস হয়। মাল প্রশাসন, পুলিশ ও মাল পুরসভার প্রচেষ্টায় কমেছে জীবনহানি হয়েছে। আহত ১৪ জনের মধ্যে ৮ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
হড়পা বানে প্রাণ গেল ৮ জনের: দশমীর রাতে মাল নদীর ভয়ঙ্কর হড়পা বান কেড়ে নিয়েছে ৮ জনের প্রাণ। জলের স্রোতে ভেসে যাচ্ছে একের পর এক মানুষ। চারদিকে আর্তনাদ, ভয়ঙ্কর এই দৃশ্য দেখে এখনও অনেকের শিরদাঁড়া দিয়ে ঠান্ডা স্রোত বয়ে যাচ্ছে। মৃত ৮ জনের মধ্যে রয়েছেন মাল পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বিভাদেবী পণ্ডিত ও তাঁর ৭ বছরের ছেলে অংশ পণ্ডিত। মায়ের সঙ্গে বিসর্জন দেখতে গেছিল ছোট্ট ছেলেটিও। কিন্তু, হঠাৎই সব ওলটপালট হয়ে গেল। স্ত্রী-সন্তানকে হারিয়ে একেবারে অন্ধকারে তলিয়ে গেছেন দিলীপ পণ্ডিত।তাঁর স্ত্রী-সন্তানের মতো, আনন্দ করতে বিসর্জন দেখতে গেছিলেন আরও অনেকে। কিন্তু, বুধবারের হড়পা বান কেড়ে নিয়েছে রুনু সাহা ও তাঁর ভাগ্নি ১৩ বছরের উর্মিকেও।হাহাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অধিকারী পরিবারেও। জেঠু তপন অধিকারীর সঙ্গে, মাল নদীতে গেছিলেন ফিজিক্স অনার্সের ছাত্র মনোদীপ। কিন্তু কেউই আর প্রাণ নিয়ে ফিরে আসেননি। জলের তোড়ে ভেসে গেছিলেন বাড়ির বৃদ্ধা ও এক শিশুও। কিন্তু কোনওরকমে তাঁদের উদ্ধার করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri: মাল নদীতে হড়পা বানে বিসর্জনে বিপর্যয়, স্বজনহারার অভিযোগ দায়ের মালবাজার থানায়