আবীর দত্ত, সমীরণ পাল ও সত্যজিৎ বৈদ্য: গণতন্ত্রের উৎসবে (West Bengal Municipal Election 2022) এবারও কান্নার ছবিটা বদলাল না। কালনা, রাজপুর-সোনারপুর থেকে নিউ ব্যারাকপুর, দিকে দিকে ঝরল চোখের জল। তৃণমূল থেকে বিজেপি, সিপিএম থেকে কংগ্রেস। কান্নায় ভেঙে পড়লেন প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলের বুথ এজেন্টরা।
ভোট আসে, ভোট যায়। শুধু দল বা জায়গা পাল্টে যায়। একই থাকে, চোখের জল পড়ার ছবিটা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোটারদের বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ। আতঙ্কে কেঁদে ফেললেন প্রথমবার ভোট দিতে যাওয়া এক তরুণের মা। কালনার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার বলেন, “আমরা লাইনে দাঁড়িয়েছিলাম, হঠাৎ শুনলাম ছেলেপিলে ঢুকে গেছে ভোট হবে না, আমার ছেলেকে মারতে মারতে বের করেছে, মেরে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবে বলেছে।’’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে, রাজপুর-সোনারপুর কান্নায় ভেঙে পড়েন সিপিএম প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট। ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের পোলিং এজেন্টের অভিযোগ, “চোখের মধ্যে বুট দিয়ে লাথি মেরেছে। বাড়িতে বয়স্ক মা-বাবা আছে, বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে গেছে। দেওয়ালে মাথা ঠুকে দিয়েছে।
নিউ ব্যারাকপুর ১০ নম্বর ওয়ার্ডে সিপিএম প্রার্থীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।প্রার্থী ঋতুপর্ণা বিশ্বাস্ বলেন,” আমি সকাল থেকে খুব শান্ত ভাবে ছিলাম, আমি এই পাড়ার মেয়ে, আমি এক জন স্কুল টিচার, এভাবে মারধর আমার প্রাপ্য নয়।’’ ভোট লুঠের অভিযোগে, কান্নায় ভেঙে পড়েন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী।প্রার্থী সীমা বিশ্বাসের কথায়, “এই ভাবে ভোট হয় কখনও? এই ভাবে এক জনের ভোট, আরেক জন দিয়ে দিচ্ছে, আমি জীবনে এরকম ভোট দেখিনি কোনও দিন মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।’’
তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে, কেঁদে ফেলেন কংগ্রেস প্রার্থী।বনগাঁর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী দেবযানী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলব, বিরোধী শূন্য চাইছেন, ভোট ভোট খেলা বন্ধ করে দিন।’’ বহরমপুরে কংগ্রেসের মহিলা এজেন্টকে বুথে ঢুকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস প্রার্থী বলেন, “আমাকে চ্যাংদোলা করে বাইরে ফেলে দেয়, মারধর করে, মোবাইল নিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: WB Muncipal Election 2022: জলপাইগুড়িতে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ প্রিসাইডিং অফিসারের