রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি: ‘বহিরাগতরা এসে ছাপ্পা ভোট (False voting) দিয়েছে।’ 


কোনও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা নন, রবিবার পুরভোট (Municipal Election) চলাকালীন এমনই চঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন প্রিসাইডিং অফিসার (Presiding Officer)। জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে প্রিসাইডিং অফিসার শুভাশিস দাস অভিযোগ করেছেন, ৫-৬ জন বুথে এসে বেআইনিভাবে ভোট দিয়েছে। 


জলপাইগুড়ি পুরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডে প্রশাসনিক ট্রেনিং সেন্টারে ৮১ ও ৮২ নম্বর বুথ ছিল। সেখানেই বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে। দুপুর দুটো নাগাদ দেখা যায়, একটি বুথের দরজা বন্ধ। বাইরে থেকে দু’জন দরজা ঠেলতেই দেখা যায়, একজন ইভিএমের জায়গা থেকে ছুটে আসছেন। তিনি স্থানীয় পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য বিকাশ বসাক। 


অশান্তি ঠেকাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ বাহিনী। গ্রেফতার করা হয়ে বেশ কয়েকজনকে। ছুটে গিয়ে একজনকে টোটো থেকে ধরে ফেলেন এক অফিসার। 


আরও পড়ুন জলপাইগুড়ির ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থীকে ঘাড়ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে


এরপরই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তোলেন প্রিসাইডিং অফিসার। তিনি বলেন, ‘পুলিশ গেটে ছিল। আমি ডিউটি করছিলাম। ওরা যখন এন্ট্রি নেয়, আমি পুলিশকে খুঁজতে যাই। কিন্তু কাউকে দেখতে পাইনি। আমি তো বাইরের, বলতে পারব না এরা বহিরাগত কি না।’


তৃণমূলের বিরুদ্ধে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগে, রাস্তা অবরোধ করে কংগ্রেস ও বিজেপি। পরে থানার সামনে বিক্ষোভ দেখায় গেরুয়া শিবির। যে তৃণমূল নেতাকে, ইভিএমের কাছ থেকে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছিল তিনিই আবার অভিযোগ তোলেন বিজেপি-কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। 


বিকাশ বসাকের দাবি, ‘আমাদের এজেন্টকে বের করে দিয়েছে। কংগ্রেস ও বিজেপি একসঙ্গে রয়েছে।’


অন্যদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে প্রিসাইডিং অফিসারকে বন্দুক দেখিয়ে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ। খড়গপুরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভারতী বিদ্যাপীঠে ২৯ থেকে ৩৩, ৫টি বুথ ছিল। সকাল থেকে নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, দুপুরে বদলে যায় ছবিটা। বোমাবাজির অভিযোগ থেকে ইভিএম ভাঙচুর, বাদ যায়নি কিছুই। বুথের বাইরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তৃণমূল ও সিপিআই-এর লোকজন। গুলি চালানোরও অভিযোগ উঠেছে। প্রিসাইডিং অফিসার ছাপ্পা ভোটে বাধা দেওয়ায়, তাঁর কপালে বন্দুক ঠেকানো হয় বলে অভিযোগ।