কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা:  একটা-দু'টো দুর্নীতি হলে আটকানো যায়। স্বাস্থ্য় ব্য়বস্থার রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নীতি। আর জি কর-কাণ্ডের আবহে, এবিপি আনন্দকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে, এমন বিস্ফোরক দাবি করলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক মদন মিত্র। SSKM-এ স্বজনপোষণ, পোস্টিং এমনকী পরীক্ষা নিয়েও চাঞ্চল্য়কর দাবি করেছেন, এই হাসপাতালের রোগীকল্য়াণ সমিতির একদা চেয়ারম্য়ান মদন মিত্র।


আরজি করের ঘটনা নিয়ে কী বলবেন?
মদন মিত্র:এই ঘটনা আমাদের সকলকে লজ্জিত করছে। মাথা নীচু করেছে...দুঃখের বিষয় আমরা এখনও সব জানতে পারলাম না...সিবিআই বলছে...তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে বলা হচ্ছে, তার তো একটা প্রমাণ লাগবে। এই যে দীর্ঘদিন অপেক্ষা।  


সন্দীপ ঘোষকে চিনতেন?
মদন মিত্র: সন্দীপ বাবুকে আমি চিনতাম যখন তখন উনি ছিলেন চিত্তরঞ্জনে..তারপরে এসেছেন আরজি করে। আমি মদন মিত্র। লোকে আমায় চেনে হাসপাতালে ভর্তি করার লোক হিসেবে। আমি হাসপাতালের কর্মকর্তাকে চিনি না। কেমন বোকা বোকা হয়ে গেল না বিষয়টা? নিশ্চয়ই চিনতাম। দেখেছি


কথা হতো?
মদন মিত্র: কথা আর কী হবে? আমাদের তো প্রেমের কথা হতো না। হলে একটাই কথা হতো...চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় ছাড়া তো কথা হতো না। আখতার আলি যিনি কেস করেছেন। ওকেও আমি চিনি। যদি বলি চিনি না।  তাহলে কি দেওয়ালের সঙ্গে কথা বলে রোগী ভর্তি করাতাম। চিনতাম..এটা অন্যায় না কি আমার?


যাকে চিনতেন তিনি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন..কিছু টের পাননি?
মদন মিত্র: করেছে...আমি কী রাতে বেতাল-ফ্যান্টমের মতো ঘুরে বেরাতাম না কি? এটা আমার কাজ না কি? আমার দরকার হতো...পেশেন্ট ভর্তির জন্য। আমি লোক পাঠাতাম। যদি দুর্নীতি থাকে সিবিআই তো তদন্ত করছে।


হাসপাতালের সঙ্গে এত যুক্ত...এই যে দুর্নীতি হচ্ছে, ডাক্তারেরা অভিযোগ করছেন...খবর পাননি?
মদন মিত্র: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাসপাতালে যা যা ব্যবস্থা করেছেন...উনি বারবার বলেছেন কোনও কেস রেফার করা যাবে না। করলে কোথায় ফাঁকা বেড রয়েছে দেখে, দরকারে হাসপাতালের অ্যাম্বুল্যান্স দিয়ে রেফার করতে হবে। তাও তো ডাক্তাররা রেফার করছেন। 


দুর্নীতির কথা জানেননি?
মদন মিত্র: আমার গত জীবনের বেশ কিছু বছর দেখেন...দেখবেন আমি দালালরাজ থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছি। এই ব্যাপারে পার্টিও আমার ব্যাপারে অবহিত। আমি যদি সবসময় হাসপাতালে দাঁড়িয়ে গোলমাল করি। হাসপাতালে সমস্যা হবে। পিজিতে যখন ছিলাম.. পিজির ডাক্তারদের উপর অত্যাচার, রোগী ভর্তির নাম গুন্ডামি-আমি সবসময় হাজির ছিলাম।


পার্টিকে জানিয়েছেন?
মদন মিত্র: যদি বলি জানাইনি বা সরকারকে বলার সময় পাইনি। তাহলে ভুল বলা হবে। নিশ্চয়ই বলতে হবে কোথায় ভুল হচ্ছে। এখনও চলছে।  


উত্তরবঙ্গ লবি নিয়ে কথা হচ্ছে? শুনেছেন?
মদন মিত্র: বলতে পারব না. ডাক্তারদের নামে কী কোড আমি বলতে পারব না...আমি তো দেখলাম এসপি দাসকে বলতে যে তাঁকেও থ্রেট কালচারের মুখে পড়তে হয়েছিল। তিনি যদি স্রষ্টা হন তাহলে তিনি কী করে থ্রেট পেয়েছেন? 


বিরূপাক্ষ-কে চিনতেন?
মদন মিত্র: হ্যাঁ চিনতাম...সাগর দত্তে পড়ত। ওর নামে অভিযোগ পেয়েছিলাম আমি ব্যবস্থা নিয়েছিলাম ওকে হস্টেলে ঢুকতে না দেওয়ার জন্য। ওর আসা বন্ধ করা হয়েছিল। ওর নাকি কোনও বন্ধু ছিল তাই না কি ও এসে থাকত। বিরূপাক্ষ বা অভীককে তৈরি করার জন্য কারা দায়ী সেটা তলিয়ে দেখা হোক...


লোকে বলছে মদন মিত্রের হাত ধরে উত্থান?
মদন মিত্র: একেবারেই না...প্রমাণ করুক। মদন মিত্রের হাত ধরে লক্ষ ছেলের উত্থান। আমার সঙ্গে কার ছবি নেই? দিলীপ ঘোষেরও ছবি রয়েছে। একমাত্র উত্তমকুমারের ছবি নেই।


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।   


আরও পড়ুন: কলকাতায় জরুরি অবতরণ চিনগামী বিমানের! তবুও মৃত্যু অসুস্থ কিশোরীর