কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা: 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবির প্রদর্শনে নিষেধাজ্ঞা জারি করায় রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন তৃণমূল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। মুখ্য়মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন। এবার পাল্টা তাঁকে বিস্ফোরক ভঙ্গিতে নিশানা করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। পাল্টা আক্রমণের পথে হেঁটেছেন চিত্রশিল্পীও।
মুক্তি পাওয়ার ৪ দিনের মাথায় পশ্চিমবঙ্গে নিষিদ্ধ হয়েছে 'দ্য কেরালা স্টোরি'। সরকারিভাবে ছবির প্রদর্শনের উপর জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এই বিষয়টি নিয়েই রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে, মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল ঘনিষ্ট বলে পরিচিত শিল্পী শুভাপ্রসন্ন। তিনি বলেছিলেন, 'হিটলারি একটা শাসন... এটা তো বজরং দলের কাজ। মমতা নিজে শিল্পী, যা করেছে, সেটা অন্যায়।' আর এরপরই তোপ দেগেছেন মদন মিত্র। কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র বলেন, 'কে শুভাপ্রসন্ন? খায় না, মাথায় দেয়? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দুদিন ওর বাড়িতে পায়ের ধুলো দিয়েছিল বলে শুভাপ্রসন্ন শুভাপ্রসন্ন হয়েছে। শুভাপ্রসন্নর কাছ থেকে জ্ঞান শুনবো না। যখন যেমন, তখন তেমন! আপনি যাকে স্তাবকতা বলছেন, সেই স্তাবকতার বিশ্ববিদ্যালয়ে আপনি তো উপাচার্য। স্তাবকতা তো আপনিই শুরু করেছেন! আমি তো সাক্ষী! কিছুদিন চুপ থাকুন।'
প্রসঙ্গত, রাজপথ থেকে তুলি হাতে মঞ্চে। শুভাপ্রসন্নর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্ক বহু পুরনো। ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসানের জন্য তিনি পথে নেমেছিলেন। আর সেই শুভাপ্রসন্নর সঙ্গেই এখন তৃণমূলের চরম সংঘাত। এ নিয়ে বিস্ফোরক ভঙ্গিতে তোপ দেগেছেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, 'আপনি এবার দাঁড়কাক আঁকুন। আপনাদের কথায় একটা ভোটও এদিক-ওদিক হবে না। আর এইসব বুদ্ধিজীবী হিসেবে কেউ আপনাদের মনে করে না। আরশোলা কি পাখি? মনে হয়, কাল অমিত শা-র সঙ্গে লাইন টাইন মেরে নিয়েছেন নিশ্চয়ই। এগুলোর জীব ছিলনা, এইসব জীবগুলোকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের হাতে তৈরি করেছেন। আপনি ছবি আঁকুন। বজরং হিটলার এসব কি বোঝেন? আর বজরং হিটলার যেদিন রাস্তা নামবে, সেদিন আপনি চিলেকোঠায় থাকবেন। রাস্তায় থাকব আমরা। আর আজকে বজরং খারাপ হয়ে গেল। আগে যখন নাচ নাচতে যাচ্ছিলেন।'
আরও পড়ুন, ফ্রিজে রাখা তরমুজ খাচ্ছেন গরমে? ভুলেও এই ভুল করবেন না!
যদিও পাল্টা আক্রমণ করেছেন শুভাপ্রসন্নও। মদনকে তিনি বলেন, 'ও তো কীট। ভবানীপুরে দালালি করত। আমরাই রাস্তায় ছিলাম থাকব।' ইদানীং যাকে ‘নাগরিক সমাজ’ কিংবা বিদ্বজ্জন বলা হয়, ঔপনিবেশিক বাংলায় প্রথম সংগঠিত ভাবে তাঁরা পথে নামেন ১৬ অক্টোবর ১৯০৫, বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে। স্বদেশপ্রেমের গান গেয়ে সবার হাতে রাখি বেঁধে বাঙালির ঐক্য ধরে রাখতে ব্রতী হয়েছিলেন যে সব জ্যোতিষ্ক, রবীন্দ্রনাথ তাঁদের অন্যতম ছিলেন। কিন্তু সেকালের সঙ্গে এ যুগের বিস্তর ফারাক! আর তাই এই আকচা-আকচি!