শিবাশিস মৌলিক, রঞ্জিত হালদার , কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, কলকাতা : রামপুরহাটের বগটুইয়ে ( Rampurhat Bogtui )প্রথমে তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের ( Panchayet ) উপ-প্রধানকে গুলি করে-বোমা মেরে খুন। তারপর সেই রাতেই জীবন্ত জ্বালিয়ে ১০জনকে হত্য়া । এই আগুনে পুড়িয়ে মারার নৃশংস ঘটনাতেই মূল অভিযুক্ত ছিলেন লালন শেখ। কয়েকদিন আগেই যাকে ধরতে সক্ষম হয়েছিল সিবিআই।
কে আগুন ধরানোর নির্দেশ দিয়েছিল, কে আসল মাথা, এই সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য় একমাত্র তাঁর কাছ থেকেই জানা সম্ভব বলে মনে করেছিল ওয়াকিবহাল মহল। কিন্তু, এমন গুরুত্বপূর্ণ অভিযুক্তের খাস সিবিআই হেফাজতেই রহস্য়জনকভাবে মৃত্য়ু হল । আর সেই ঘটনায় চাঞ্চল্য়করভাবে শুধু CBI-এর দুই তদন্তকারী অফিসার-সহ ৩ জন অফিসারের নামেই নয়, CBI-এর DIG এবং CBI-র SP-র বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত লালন শেখের স্ত্রী।
আরও পড়ুন :
ফের ঊর্ধ্বমুখী পারদ, তবে বৃহস্পতিবার থেকেই এক ঝটকায় নামবে পারদ, কত নামবে তাপমাত্রা ?
অভিযোগপত্রে নাম রয়েছে সিবিআই অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্যরও। উল্লেখযোগ্য় বিষয় হল, এই সুশান্ত ভট্টাচার্য হলেন গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তকারী সিবিআই অফিসার। মৃতের স্ত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ CBI অফিসারদের বিরুদ্ধে খুন, হুমকি, মারধরের অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। আর যথারীতি এ নিয়ে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চাপানউতোর।
এদিকে কুণাল ঘোষের মতোই ডিসেম্বর সাসপেন্সের প্রসঙ্গ টেনে সিবিআই হেফাজতে মৃত্য়ুর ঘটনায় শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, ' এখনই, এই মুহূর্তে, সুয়োমোটো অর্ডার বার করে শুভেন্দু অধিকারীকে একেবারে কোমরে দড়ি পরিয়ে গ্রেফতার করতে হবে ... শুভেন্দু কী ভাবে বলল, ১২ ডিসেম্বর থেকে অপারেশনটা স্টার্ট হবে '
লালন শেখের মৃত্য়ুর দায় কার? মূল অভিযুক্তের মৃত্য়ুর পর তদন্তের সঠিক পরিণতি কি সম্ভব ? এই প্রশ্নগুলো কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।