গৌতম মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা : উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালির ছায়াই কি এবার দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেও ? গুরুতর অভিযোগ রায়দিঘিতে। জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক দিতে যাওয়ার আগেই এল বাধা। সন্দেশখালির (Sandeshkhali Violence) তিন তৃণমূল নেতার অত্যাচারের কাহিনী নিয়ে রাজ্যজুড়ে শোরগোলের মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি বিধানসভার কাশীনগরের পুরন্দরপুর গ্রামের তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য ও তাঁর দলবলের অত্যাচারে গ্রাম ছাড়ল মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর (Madhyamik Examinee's Family) পরিবার। 


অত্যাচারের শিকার হয়েও ভয়ে মুখ খোলেননি কেউ..


অভিযোগ, অত্যাচারের শিকার গ্রামের আরও অনেকেই। কিন্তু ভয়ে মুখ খোলেন না। সরব গ্রামের তৃণমূল কর্মীরাও। পুলিশ ও স্থানীয় বিধায়ককে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা ও পঞ্চায়েত সদস্য রবিউল মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। পারিবারিক বিবাদ ও রাজনৈতিক চক্রান্তের তত্ত্ব সামনে এনেছেন। 


 কে এই রবিউল ?


কাশীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের পুরন্দরপুর গ্রাম। এই গ্রাম থেকে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী রবিউল মোল্লা জয়লাভ করেন। পরাজিত হন তৃণমূল প্রার্থী। নির্বাচন মেটার পর রবিউল তৃণমূলে যোগ দেন। রবিউল দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়েছিলেন। নির্বাচন মেটার পর থেকে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থকদের মারধর, বাড়ি ভাঙচুর হুমকি দেওয়ার ভুরিভুরি অভিযোগ সামনে আসতে থাকে।



 'মাধ্যমিক পরীক্ষা দিতে বাধা, প্রাণনাশের হুমকি পরিবারকে...'


এই পরিবারটিকে বারে বারে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া, মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ছফুর মেয়ে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী ছিল। তাকেও পরীক্ষা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে বিধায়কের হস্তক্ষেপে পরীক্ষা দেয় ওই ছাত্রী। এরমধ্যে প্রাণভয়ে গত এক সপ্তাহ আগে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র চলে গিয়েছে ছফুর পরিবার। অন্যত্র থেকেও আতঙ্কিত গোটা পরিবার। রবিউল বাহিনীর অত্যাচার নিয়ে সরব তৃণমূলের বুথ সম্পাদক সালাউদ্দিন মোল্লাও। 


আরও পড়ুন, রাজ্যের মুখ্যসচিব-সহ ৫ আমলার হাজিরা নিয়ে লোকসভার সচিবালয়ের নোটিসে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের


রাজনৈতিক চক্রান্ত, এলাকায় এধরণের কোনও অভিযোগ নেই :  তৃণমূল নেতা


আক্রান্তদের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রবিউল মোল্লা। তিনি জানিয়েছেন, এলাকায় এধরণের কোনও অভিযোগ নেই। রাজনৈতিক চক্রান্ত করে এই অভিযোগ করা হচ্ছে। রায়দিঘির তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা জানিয়েছেন, রবিউল পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে দলে এসেছে। নির্বাচনের আগে থেকে জমির বিবাদ চলছিল ছফুর পরিবারের সঙ্গে। দলীয় নেতৃত্বকে বলেছি খোঁজ নিতে।