পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া : মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা যাতে হাতির হানা থেকে নিরাপদে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারে, তার জন্য জঙ্গল পাহারার উদ্যোগ বন দফতরের। শুধু তাই নয়, পরীক্ষার্থীরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেই ব্যবস্থাও করা হয়েছে বন দফতরের তরফে। হুলা পার্টির সঙ্গে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় ও বড়জোড়া রেঞ্জের বিভিন্ন জঙ্গলপথ পাহারা বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকদের। প্রথম দিনে নিরাপদে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পেরে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পরীক্ষার্থীরা।


জঙ্গল ঘেরা জেলা বাঁকুড়া। এই মুহূর্তে জেলার বিভিন্ন জঙ্গলে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ৪৭টি হাতি। এই সময়ে জঙ্গলের গাছে গাছে পাতা ঝরে যাওয়ায় পর্যাপ্ত খাবার নেই। স্বাভাবিক ভাবেই খাদ্যের সন্ধানে হাতির দল মাঝেমধ্যেই নিজেদের অবস্থান বদল করছে। এক জঙ্গল থেকে আরেক জঙ্গলে যাওয়ার পথে হাতির দল মাঝেমধ্যেই পারাপার করছে বিভিন্ন রাস্তা। আর এই রাস্তা দিয়ে পারাপার করতে গিয়ে হাতির দলের মুখে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। 


এদিকে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা। একে তো পরীক্ষার উদ্বেগ রয়েছেই, তার ওপর নিরাপদে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছনোর চাপ। রাস্তায় হাতির সামনে পড়লেই সমস্যার শেষ থাকবে না। সব মিলিয়ে কয়েকগুণ আতঙ্ক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের। এই পরিস্থিতিতে ত্রাতা হয়ে এগিয়ে এসেছে বন দফতর। পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় যাতে ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য বেলিয়াতোড়-পাঁচাল রাস্তায় হাতির করিডরগুলিতে দিনভর পাহারায় বন দফতরের কর্মী ও আধিকারিকরা। রীতিমতো হুলা জ্বালিয়ে রাস্তার ধারে দিনভর দাঁড়িয়ে হুলা পার্টির সদস্যরা। 


জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষার প্রথম দিনে জঙ্গল লাগোয়া গ্রামগুলি থেকে নির্ভয়ে ও নির্বিঘ্নে বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছাতে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি পরীক্ষার্থীরা। বন দফতরের দাবি, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রতিটি দিন এভাবেই জঙ্গল পথগুলি পাহারা দেবেন তাঁরা। এই ব্যবস্থায় স্বভাবতই খুশি অভিভাবকরাও। কারণ, তাঁরা সন্তানদের নিরাপদে পরীক্ষার হলে পৌঁছনো নিয়ে চিন্তায় ছিলেন।