দক্ষিণ ২৪ পরগনা: মগরাহাটে (Magrahat Twin Murder) সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তী এবং তাঁর বন্ধু বস্ত্র ব্যবসায়ী মলয় মাখালকে প্রথমে মাথার পিছনে গুলি করা হয় (Shot in Head) । এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে ধারাল অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপানো হয় দু’ জনকেই। তদন্তে নেমে জানাল পুলিশের। জোড়া খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জানে আলম মোল্লার স্ত্রী-সহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখনও অধরা মূল অভিযুক্ত জানে আলম।
নিহত সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে তৃণমূল সাংসদ
রবিবার সকালে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটে নিহত সিভিক ভলান্টিয়ার বরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে যান জয়নগরের তৃণমূল সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল এবং মগরাহাট পূর্বের বিধায়ক নমিতা সাহা। জোড়া খুনের ২৪ ঘণ্টা পরেও কেউ গ্রেফতার না হওয়ায়, তাঁদের সামনে ক্ষোভ উগরে দেন গ্রামবাসীরা। তার আগে এ দিন সকালে পথ অবরোধের চেষ্টাও করেন গ্রামবাসীরা। পুলিশ বাধা দিলে উত্তেজনা ছড়ায়। পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। লাঠি উঁচিয়ে জমায়েত হঠায় পুলিশ। পরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
তবে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে না পারলে পথে নেমে প্রতিবাদের হুঁশিয়ারি দিয়েছে নিহতদের পরিবার। এখনও থমথমে মগরাহাটের আমড়াতলা গ্রাম। অশান্তির আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ।
আরও পড়ুন: Sitalkuchi: শীতলকুচিতে শহিদ দিবস পালন তৃণমূলের
আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন বলে অভিযোগ
মগরাহাট খুন নিয়ে এখনও পর্যন্ত যে তথ্য সামনে এসেছে, সেই অনুযায়ী, টাকা ফেরত দেওয়ার নাম করে কারখানায় ডেকে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং তাঁর বন্ধুকে কুপিয়ে খুন করা হয়। এই ঘটনায় কাঠগড়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ী।
এই নৃশংস এই ঘটনা ঘিরে গতকাল রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাটের মাগুরপুকুর। পলাতক অভিযুক্ত। আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিবাদের জেরেই এই ঘটনা, সিনিয়র অফিসাররা তদন্ত করছেন বলে ট্যুইট করে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ